রংপুর ব্যুরো: সারা দেশের মতো রংপুরসহ বিভাগ জুড়ে খাবার স্যালাইনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি তীব্র গরম ও তাবদাহের কারণে খাবার স্যালাইনের অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়েছে। তবে সে অনুপাতে স্যালাইনের জোগান দিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে বিশ্বে ৪০ হাজার মৃত্যুর আশঙ্কা
রংপুর মহানগরীসহ জেলার ৮ উপজেলা ও বিভাগের ৮ জেলা শহর কিংবা গ্রামের অনেক এলাকাতেই এখন খাবার স্যালাইনের সঙ্কট পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে এ সুযোগে কিছু নিম্নমানের স্যালাইন বাজারে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী ও সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা এ পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান চেয়েছেন।
বর্তমানে আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ফুড পয়জনিং ও ভাইরাসসহ নানা রোগের ওষুধের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। চাহিদার পাশাপাশি বেড়েছে বিভিন্ন ওষুধের দামও।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ ন্যাক্কারজনক
রংপুর নগরীর পায়রা চত্বর, আজিজ সুপার মার্কেট, সিটি বাজার, নবাবগঞ্জ বাজার, স্টেশন, মাহিগঞ্জ, মর্ডাণ মোড়, লালবাগ ও ধাপ মেডিকেল এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকানেই কম-বেশি খাবার স্যালাইনের সঙ্কট রয়েছে। পাইকারি দোকানেও চাহিদার অনুপাতে কম হারেই বিক্রি হচ্ছে খাবার স্যালাইন।
চাহিদার অনুপাতে খুচরা দোকানিদেরও খাবার স্যালাইন সরবরাহ করতে পারছে না অনেক পাইকারি দোকান। এছাড়া বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির খাবার স্যালাইন থাকলেও বেশি চাহিদা এসএমসির (সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি) ওরস্যালাইনের।
খুচরা পর্যায়ের শতকরা ৯০ ভাগ ক্রেতাই এ ওরস্যালাইন ক্রয় করেন। তাই এ স্যালাইনটির সঙ্কটই বাজারে বেশি। এছাড়া টেষ্টি স্যালাইন ও ওসা ফ্রুটি স্যালাইনের চাহিদা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস পালিত
ক্রেতারা জানান, দেহের পানিশূন্যতা পূরণে অনেকে খাবার স্যালাইন রাখেন। এছাড়া অনেকে ডায়রিয়ার কারণেও খাবার স্যালাইন নিয়মিত পান করেন। কিন্তু এসএমসির ওরস্যালাইন প্রায় সময়েই দোকানে পাওয়া যায় না। দোকানিরাও কৌশলে অন্য কোম্পানির নিম্নমানের খাবার স্যালাইন এ সুযোগে বিক্রি করছেন।
ভুক্তভোগী রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, যে ফার্মেসিতেই স্যালাইনের জন্য যাচ্ছি মিলছে একই উত্তর- সাপ্লাই নেই, ভাই কী করব? রংপুর জুড়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
রংপুরে কর্মরত এসএমসি কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি রংপুরসহ সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাবদাহ ও গরমের কারণে খাবার স্যালাইনের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। আমরা যে অনুপাতে চাহিদাপত্র সাবমিট করি, সে অনুপাতে খাবার স্যালাইন পাই না।
ফলে পাইকারি বা খুচরা পর্যায়ের দোকানেও চাহিদা মতো খাবার স্যালাইন সরবরাহ করতে পারছি না। তবে দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সান নিউজ/এনজে