নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভোলা: করোনার মধ্যেও বিচারপ্রার্থীদের বিচারিক সেবা প্রদানে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ভোলার বিচার বিভাগ। আদালত সংশ্লিষ্ট সকলকে সুরক্ষিত রাখতে জীবানুনাশক স্প্রে, কাপড়ের মাস্ক, হ্যান্ডস্যানিটাইজার ইত্যাদি সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ছাড়াও আদালতের মূল প্রবেশদ্বারে স্থাপিত হয়েছে হাত ধোয়ার বেসিন। আদালত ভবনের প্রবেশদ্বারে রাখা হয়েছে সেন্সরযুক্ত অটোমেটিক জীবানু ছিটানোর যন্ত্র।
আদালতের এজলাসে স্থাপিত হয়েছে সাক্ষীর ডকসহ ড্রপলেট প্রতিরোধী শ্নিজগার্ড। আসামির স্বীকারোক্তি ও নির্যাতনের শিকার নারী-শিশুদের জবানবন্দি গ্রহণেও রয়েছে শ্নিজগার্ডসহ বিশেষ ডেস্ক। ফলে ঝুঁকিমুক্ত থেকে পুলিশের সোপর্দ করা আসামির জামিন ও রিমান্ড শুনানি এবং প্রয়োজনীয় জবানবন্দি গ্রহণ সহজ হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ ড. এ বি এম মাহামুদুল হকের প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনা ও সহযোগিতায় করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই এসব পদক্ষেপ নিয়েছেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. সানাউল হক। ভার্চুয়াল শুনানির শুরু থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুনানিতে অংশ নিতে আইনজীবীদের কারিগরি সহায়তা করেছেন। ব্যবস্থা করেছেন সব ধরনের জরুরি বিষয়াদির শুনানিরও।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলার আদালতে শ্নিজগার্ডসহ বিশেষ ডেস্ক স্থাপনে ‘ভোলা মডেল’ অনুসরণ করা হয়েছে।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন সকল আদালতের মামলার দৈনিক কার্যতালিকা প্রর্দশন করা হচ্ছে এজলাসের বাইরে স্থাপিত দুইটি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে। ফলে এজলাসকক্ষে না ঢুকে বা প্রচলিত দৈনিক কার্যতালিকার সংস্পর্শে না এসেই এই ডিসপ্লে বোর্ডে থেকে যে কেউ তার মামলার শুনানির তারিখ ও সময়ের পাশাপাশি আদেশের সার-সংক্ষেপ জানতে পারছেন। এতে এজলাসকক্ষে শুনানিকালে বা আদালতের সর্বাধিক ব্যবহৃত দৈনিক কার্যতালিকার সংস্পর্শ থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশেই এড়ানো যাচ্ছে এবং কোনো ধরনের হয়রানির সুযোগ থাকছে না।
বিচারপ্রার্থী এবং বিচার সংশ্লিষ্ট সকলেই এসব অভিনব উদ্ভাবনে ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছেন এবং সেজন্য ভোলার বিচার বিভাগকে প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
সান নিউজ/ এআর