নিজস্ব প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জ: সিভি ব্যাংকে সিভি জমা নিয়ে চাকরি প্রত্যাশী বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের চাকরি পাইয়ে দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘আপন আলোয় আলো জ্বালো’ শিরোনামে গৃহীত এ বিশেষ প্রোগ্রাম সিভি ব্যাংক চালু ও অনলাইন জব ফেয়ার চলছে। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার এই উদ্যোগে সিভি ব্যাংকে ১০ হাজার সিভি জমা পড়ে। এর মধ্য থেকে চার হাজার সিভি বাছাই করে এক হাজার সিভি ডাটাবেজ করে বিভিন্ন চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। পরে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) গোপালগঞ্জের ১১ জন যুবক- যুব মহিলাকে চাকরির নিশ্চয়তা দেয়।
তাদের মধ্যে জেরিন খানম ও তুলি খানম ইতোমধ্যে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। আগামী দু’একদিনের মধ্যে বোরহান খন্দকার, সমির মধু, বিজয় জয়ধর, নিখিল বসু, রঞ্জন কুমার সরকার, রাছেল মিয়া, তানভীর আহম্মেদ, রিপন মৃধা ও হামিদুর রহমান চাকরিতে যোগ দেবেন।
আরো ১৪ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকেও নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন সূত্র।
এটুআই ও বিটাকের সহায়তায় বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের সিভি জমা নিয়ে চাকরি পাইয়ে দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকালে জুম ক্লাউড (ভার্চুয়াল) মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। বিটাকের মহাপরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এটুআইয়ের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. মো. আব্দুল মানান, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াছুর রহমান, এনডিসি মিন্টু বিশ্বাস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ববি মিতুসহ চাকরিপ্রাপ্ত যুবক ও যুব মহিলা এবং গণমাধ্যম কর্মীরা মিটিংয়ে অংশ নেন।
চাকরিপ্রাপ্তরা অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা ডিসি অফিসে শুধুমাত্র সিভি জমা দিয়েছিলাম। আমাদের কোথাও যেতে হয়নি, হয়রানির শিকার হতে হয়নি, কাউকে টাকা দিতে হয়নি। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চাকরি পেয়েছি, এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেছেন, মুজিববর্ষের বিশেষ কার্যক্রম ‘আপন আলোয় আলো জ্বালো’ বিশেষ প্রোগ্রাম সিভি ব্যাংক ও অনলাইন জব ফেয়ার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আশা করছি, এই প্রোগ্রাম সফল করতে পারবো। এটি পর্যায়ক্রমে চলমান থাকবে।’
সান নিউজ/ এআর