এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট : বাগেরহাটের ফকিরহাটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ সবজি লতিরাজ কচু চাষ করে সাফল্য পেয়েছে উপজেলার পিলজংগ গ্রামের কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন : গাইবান্ধায় ৬ নারী ছিনতাইকারী আটক
কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে তিনি লতিরাজ কচু চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ হন। এরপর তিনি কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহন করার পর তাকে ২০ শতক জমি প্রদর্শনী প্রদান করা হয়। তিনি সেই প্রদর্শনীর জমি সম্প্রসারণ করে ৩০ শতক জমিতে লতিরাজ কচু চাষ করেন। তার জমির লতিরাজ কচু বিক্রয়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি চাষাবাদের জমি বৃদ্ধি করেছেন। এছাড়া এর মাধ্যমে তিনি পুর্বের ঋণের টাকাও পরিশোধ করেন। বর্তমানে দরিদ্র এই কৃষক সচ্ছলভাবে সংসার পরিচালনা করছেন। তার এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেক কৃষক লতিরাজ কচু চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মন্ডল ও তানিয়া রহমান জানান, বর্তমানে উপজেলার ফকিরহাট সদর, বেতাগা, পিলজংগ, বাহিরদিয়া-মানসা সহ বিভিন্ন এলাকায় এই কচু চাষ করছেন অনেক কৃষক।
আরও পড়ুন : পশুর নদীতে লাইটার জাহাজডুবি
তারা আরও জানান, কৃষকরা কচু চারা রোপণের প্রায় এক মাস থেকে দেড়মাস পর ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কচুর লতি বিক্রি শুরু করেন। কচুর লতি বিক্রির পাশাপাশি কচুর চারা বিক্রি করে অনেক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের উৎপাদন খরচের চেয়ে লতিরাজ কচুতে অল্প পুঁজিতে ভালো লাভ পাওয়া যায় বলে জানান।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফকিরহাট উপজেলায় প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক-কৃষাণীরা উন্নত জাতের কচু, পানি কচু ও লতিরাজ কচু চাষের আওতায় এসেছেন। প্রশিক্ষণ নিয়ে এসব কৃষকরা কচু চাষে সাফল্য পেয়েছেন। কম সময়ে ভালো ফলন, কম খরচ ও বেশি লাভ হওয়ার কারণে এ ফসলটি চাষে লাভবান হয়েছেন লতিরাজ কচু চাষীরা।
আরও পড়ুন : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দিনমজুরের মৃত্যু
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদেরকে লতিরাজ কচু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। লতিরাজ কচুর ভালো ফলন ও বাজারের চাহিদার কারণে অনেক কৃষক চাষ শুরু করেছেন। কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ জাতের কচু চাষ করছেন। আয়রণ সমৃদ্ধ এ সবজির লতি, পাতা এবং কচু কোনটাই অপচয় হয় না। লতিরাজ কচু অনেকের কাছে প্রিয় সবজি। কচুপাতা শাক হিসেবে বিক্রি ও জৈব সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। অনেকে কম্পোস্ট সার তৈরিতে ব্যবহার করছেন কচুপাতা।
সান নিউজ/এমআর