বেনাপোল প্রতিনিধি: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই। এরই মধ্যে প্রতিমার গায়ে পড়েছে রঙের আঁচড়।
আরও পড়ুন: আজ মহালয়া
সারা দেশের মতো যশোর জেলার শার্শা-বেনাপোলে পুরোদমে চলছে পূজার প্রস্তুতি। শার্শা উপজেলায় ৩২ টি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
সরেজমিনে মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। দেবী দুর্গার সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করছেন তারা।
আরও পড়ুন: আজ ৫৪তম বিশ্ব মান দিবস
আয়োজকরা বলছেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর বেশি মজুরি নিচ্ছেন কারিগররা। এ কারণে পূজার খরচ বেড়েছে বহুগুণ।
প্রতিমা তৈরি কারিগর লক্ষণ, সুজন দাস ও কার্তিক বলেন, আমরা প্রতি বছর শার্শা উপজেলাতেই কাজ করে থাকি। এবার গত কয়েক বছরের তুলনায় ভালো ভাবে পূজার প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
আরও পড়ুন: আজ শনির অমাবস্যার বিরল সূর্যগ্রহণ
কমিটির লোকজনের চাহিদা অনুযায়ী, এবার প্রতিমার আকার ও ডিজাইনে ভিন্নতা এসেছে। আমরা মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির শেষ করে এখন রংয়ের কাজ করছি। রঙের কাজ শেষ করে কমিটির লোকজনের কাছে প্রতিমা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বৈদ্যনাথ দাস বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ জাতীয় উৎসবে একটি ঐক্য ও সমন্বয়ের ধারা প্রতিষ্ঠা করতে চান তারা, যা জাতীয় জীবনে আজ বড় প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা
প্রতিটি পূজা মণ্ডপ ও মণ্ডপগামী সড়কগুলোয় বিশেষ করে রাতের বেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করারও দাবি জানান তিনি।
যশোরের নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, ‘শারদীয় দুর্গা পূজা’ শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষে পুলিশ যাবতীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: ২ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
গুরুত্ব অনুসারে পূজা মণ্ডপগুলোকে কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে, সে অনুপাতে অফিসার-ফোর্স মোতায়েন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি পূজা মণ্ডপ মিলে থাকবে পেট্রাল টিম। তারা ঘুরে ঘুরে মণ্ডপগুলো মনিটরিং করবে।
সান নিউজ/এনজে