ভালুকা (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা: ময়মনসিংহের ভালুকায় শিক্ষিত বেকার ও সাধারণ কৃষককে পরামর্শ দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরি করে পতিত জমি চাষাবাদ এবং খামার সার ও কম্পোস্ট সার তৈরিতে প্রতিনিয়ত পাশে থাকছেন কৃষকের বন্ধু সাইদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আইবিটিআরএ'র উদ্যোগে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
তিনি ভালুকা উপজেলার কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে হবিরবাড়ীর ইউনিয়নের হবিরবাড়ীর ব্লকের দায়িত্বে আছেন। বর্তমানে তিনি নব কৃষি উদ্যোক্তা ব্যক্তি তৈরি হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন।
সাইদুল ইসলাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ফসলের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় দমনে ফসলের মাঠে কৃষকদের নিয়ে নিয়মিত আলোক ফাঁদ করে যাচ্ছেন। এতে কৃষকরা আতঙ্কিত নয়, বরং সচেতন হচ্ছেন এবং আগাম পূর্বাভাস পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের দাম কমেছে
এছাড়া তিনি পতিত জমির সদ্ব্যবহার এবং বিভিন্ন কোম্পানির বাউন্ডারির ভিতরে সাময়িক পতিত জমিকে সবজি চাষের মাধ্যমে চাষাবাদের আওতায় এনে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
সেই সাথে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় আধুনিক উপায়ে সরকারি সহায়তায় ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে অগ্রজ কৃষকদের নিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট, খামারজাত সার ও অন্যান্য কম্পোস্ট উৎপাদন ও ব্যবহার করে যাচ্ছেন।
কৃষিতে নব উদ্যোক্তা তৈরি করে পুষ্টি বাগান ও ফল বাগান সৃজনে তিনি নিয়মিত কৃষকদের সাথে করে যাচ্ছেন উঠান বৈঠক।
আরও পড়ুন: চারটি পরীক্ষা স্থগিত
হবিরবাড়ী এলাকার জয়নাল আবেদীন বলেন, পতিত জমি চাষাবাদের ব্যবহার ও ফসলি জমির মাটির প্রাণ জৈব কম্পোস্ট সার তৈরি ও ফসলের মাঠে ব্যবহারে সার্বিকভাবে আমাদের সব সময় পাশে থেকে সহযোগিতা করে কৃষকের বন্ধু কৃষি উদ্যোক্তা সাইদুল ইসলাম ভাই।
হবিবাড়ী এলাকার কৃষক আবদুর রশিদ, মো. আমির, আ. আব্বাস, মো. আলাল মিয়া ও জালাল উদ্দিন বলেন, কৃষি কাজ করে আমাদের সংসার জীবনের খরচ চালাতে হয়।
আরও পড়ুন: গ্রেফতারের পর আদালতে এ্যানি
এ বছর আমন ধানের ফসন ভালো হয়েছে। তবে পোকা-মাকড়, ইঁদুর, রোগবালাই থেকে রক্ষার জন্য কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে আমরা এলাকার প্রায় সকল কৃষক আমন ধানের সুরক্ষার সন্ধ্যাকালীন আলোক ফাঁদ তৈরির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি।
কৃষি কর্মকর্তা সাইদুল স্যার আমাদের সমস্যার কথা শোনামাত্রই চলে আসেন। তবে এ বছর প্রবল বর্ষণের কারণে জমির আমন ধান পানিতে ডুবে যায়। পানি নামার সাথে সাথে তার পরামর্শে আমরা ফসলি জমিতে কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ত্রিশালে বাসচাপায় নিহত বেড়ে ৫
কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, কৃষিই সমৃদ্ধি। স্মার্ট কৃষি হলে স্মার্ট হবে বাংলাদেশ। ফসলে জৈব সার দিলে আমরা পাবো ফসলের আসল স্বাদ।
তবে এ বছর জমিতে আমন ধান প্রবল বর্ষণে পানিতে ডুবে যায়। ফলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা যাতে আংশিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে, সে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। তারই ধারাবাহিকতায় কৃষির আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
সান নিউজ/এনজে