ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ভারতের কর্নাটকে বার্ধক্যজনিত কারণে ৬২ বছরের বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের মৃত্যু হয়। কিন্তু কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের ভয়ে পরিবারের কেউ তার দেহ একবার দেখতেও রাজি হননি।
শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধের শেষকৃত্যে এগিয়ে এলেন আসিফ নামে এক মুসলিম যুবক।
মুহাম্মদ আসিফ বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বৃদ্ধের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন। হিন্দু রীতি মেনে মুখাগ্নি ও ছাই সংগ্রহ করে উদ্দিনাহিথলুর কাছে ভাদাভান্দেশ্বরা মন্দিরের কাছে সমুদ্রের পানিতে সেই ছাই বিসর্জন দিয়েছেন আসিফ।
বৃদ্ধের শেষ ইচ্ছে ছিল যে তার শরীরের শেষ অংশটুকু যেন ওই সমুদ্রের পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু করোনার ভয়ে পরিবারের কেউই সেই দেহ ছোঁয়া তো দূরের কথা, একবার দেখতেও রাজি হননি।
অবিবাহিত বৃদ্ধের চার ভাইবোন রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু কেউই শেষকৃত্য করতে রাজি হননি। শ্মশানেও দেহ নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন তারা। বৃদ্ধের বোনের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে ফোন করে কথা বলেন আসিফ। তিনিই আসিফকে শেষকৃত্য করতে বলেছিলেন। মুলকি পুলিশের অনুমতি নিয়ে পরে আসিফ সেই দেহ শ্মশানে নিয়ে যান।
গত ২০১৮ সাল থেকে মুলকির একটি অনাথ আশ্রমে থাকতেন ওই বৃদ্ধ। আসিফই তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে ওই আশ্রমে নিয়ে গিয়েছিলেন।
আসিফ জানিয়েছেন, শেষ কয়েকদিন বৃদ্ধ খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তারপরেই মুলকির সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল ওই বৃদ্ধের।
সান নিউজ/ আরএইচ