এস.এম শাহাদৎ হোসাইন, গাইবান্ধা: ধান বা চাউল নয় সারি সারি বস্তায় আদা চাষ করে সবুজের সমাহার করেছে রুবেল শেখ। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের উত্তর ফরিদপুর গ্রামে রুবেল শেখ এর বাড়িতে আদা চাষের এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে ৬ মরদেহ উদ্ধার
যুবক রুবেল। কৃষি পরিবারেই তার জন্ম। স্বপ্ন দেখেন কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার। সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপ দিতে বাড়ির পরিত্যক্ত স্থানে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষ করেছে। রয়েছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। কৃষক আব্দুল গনি শেখের ছেলে রুবেল শেখ একজন এনজিও কর্মী।
বসতবাড়ির উঠান ও ভেতরে অনেক জায়গা পরিত্যক্ত আছে। পরিত্যক্ত জায়গার ব্যবহার করে একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। পরিত্যক্ত জায়গার কি করা যায় এমন চিন্তা করেন। রুবেল তার স্ত্রী জেবিন আক্তার ও ছোট বোন শারমিন খাতুনসহ বাবা-মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করেন বস্তা পদ্ধিতে আদা চাষ করার মনস্থির করেন।
আরও পড়ুন: বিআরটি’র গার্ডার পড়ে নিহত ৫
গত চৈত্র মাসে এক হাজার বস্তায় মাটি ভর্তি করে সেই মাটিতে বারি-২ জাতের আদা বীজ রোপণ করা হয়। বাড়ির ভেতর ঘরের বারান্দায় ও আঙ্গিনা এবং বাড়ির বাহিরের উঠানের ছায়াযুক্ত স্থানে সারিবদ্ধভাবে বস্তা বসিয়ে আদা চাষ করা হয়েছে। বস্তা পদ্ধতি আদা চাষে তার খরচ হয়েছে ১৭ হাজার টাকা। তবে লক্ষাধিক টাকার আদা বিক্রয়ের আশা করা হচ্ছে।
রুবেল শেখ বলেন, বাজার থেকে সারের খালি বস্তা সংগ্রহ করে বেলে দো-আঁশ মাটি ভর্তি করেন। প্রত্যকটি বস্তায় পরিমাণ মতো জৈব-রাসায়নিক-কম্পোস্ট সার ও দানাদার কীটনাশক ওইসব মাটির সঙ্গে মিশ্রিত করে বস্তাপ্রতি ২-৩টি করে আদা রোপণ করা হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু থেকে লাফিয়ে পড়ে নিখোঁজ
সাদুল্লাপুর উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, সাধারণভাবে আদা চাষের চেয়ে বস্তা পদ্ধতি চাষ করা লাভজনক হবে।
সান নিউজ/কেএমএল