মাদারীপুরের মাটি ও মানুষের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক  
ফিচার
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

মাদারীপুরের মাটি ও মানুষের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক  

শফিক স্বপন, মাদারীপুর : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাদারীপুরের মাটি ও মানুষের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধুর শৈশবের ৪ বছর কেটেছে মাদারীপুরে। ছাত্রজীবন, রাজনীতি ও আত্মীয়তার সুবাদে অনেক স্মৃতিগাঁথা মাদারীপুর।

আরও পড়ুন : চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে ৬ মরদেহ উদ্ধার

১৯৩৩ সালে গোপালগঞ্জ মহকুমা দেওয়ানী কোর্ট থেকে বদলি হয়ে মাদারীপুর মহকুমার কোর্টের সেরেস্তাদার হয়ে যোগদান করেন বঙ্গবন্ধুর বাবা লুৎফর রহমান । বঙ্গবন্ধুর কিশোর বয়সে প্রথম পর্দাপণ ঘটে এ অঞ্চলে। তার মা সায়েরা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। তখন তারা থাকতেন মাদারীপুরের আদি শহর রাস্তি ইউনিয়নের লক্ষ্মীগঞ্জ এলাকার সরকারি কোয়ার্টারে।

ইসলামিয়া হাই স্কুলে লেখাপড়া করার সময় শিশু মুজিব বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। অসুস্থতার জন্য তাঁর লেখাপড়া বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকে। ১৯৩৬ সালে তিনি মাদারীপুর হাই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। এ সময় তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁর চোখে গ্লুকোমা রোগ ধরা পড়ে।

ডাক্তারের পরামর্শে তাঁর বাবা শেখ লুৎফর রহমান চিকিৎসার জন্য তাঁকে কলকাতা নিয়ে যান। চিকিৎসার শেষে তিনি তাঁর বাবার সাথে পুনরায় মাদারীপুর ফিরে আসেন। এসময় তিনি পড়তেন মোটা ফ্রেমের চশমা। ওই সময়টায় দেশে স্বদেশি আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।

এ সময় তিনি পড়তেন মোটা ফ্রেমের চশমা। ওই সময়টায় দেশে স্বদেশি আন্দোলন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। চোখের অপারেশনের কারনে বঙ্গবন্ধুর পড়াশোনা বন্ধ থাকার কারনে তিনি বিকেল হলেই চলে যেতেন বিভিন্ন সভায়। তখন মাদারীপুরের পূর্ণ দাস, সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন স্বদেশি আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা। শেখ মুজিবুর রহমান তাদের খুব ভক্ত হয়ে উঠলেন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে তার মনেও ক্ষোভ জন্মাতে থাকলো।

মাদারীপুরের পূর্ণ দাস তখন ইংরেজের আতঙ্ক। স্বদেশী আন্দোলন তখন মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের ঘরে ঘরে।’ এই পূর্ণচন্দ্র দাস ছিলেন বাঘা যতীনের সহকর্মী। মাদারীপুরে একসময় তিনি নিজেই একটি বিপ্লবী দল গড়েছিলেন।

আরও পড়ুন : ২৫ বছরের মধ্যে ভারত উন্নত দেশ হবে

১৯৩৬ সাল পর্যন্ত তিনি মাদারীপুর-গোপালগঞ্জ যাতায়াত করতেন। তাঁর বাবা শেখ লুৎফর রহমান মাদারীপুর থেকে বদলি হয়ে গোপালগঞ্জ চলে যান। ১৯৩৬ সালে কিশোর মুজিবকে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে ভর্তি করে দেওয়া হয়।

মাদারীপুরে লেখাপড়া করার সময় বঙ্গবন্ধু ফুটবল খেলায় অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। ১৯৩৫ সালে তিনি স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে ফুটবল টিম গঠন করেছিলেন। ওই ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি। মৌসুমে ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অর্জন করেছেন বহু শিল্ড, কাপ ও মেডেল।

খেলাধুলার নেতৃত্ব দেওয়া জন্য কিশোর মুজিবের খ্যাতি ছড়িয়ে পরে এ অঞ্চলে। স্কুলে লেখাপড়া করার সময় অন্যায় ও অনিয়মের প্রতিবাদ করে তিনি ছোট থেকেই সাহসী হয়ে উঠেন। পরিদর্শকরা স্কুল পরিদর্শনে এসে তার বাচনভঙ্গি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ও সাহস দেখে অবাক হয়ে যেতেন।

আরও পড়ুন : উত্তরায় ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে নিহত ৪

বঙ্গবন্ধু মাদারীপুরে থাকাকালীন পাঁচখোলা গ্রামের গগণ বেপারী নামে এক ব্যক্তির কাছে সাঁতার শিখতেন। সেই গগণ বেপারী এখন আর বেঁচে নেই;বেঁচে নেই তার ফুটবল দলের কোনো খেলোয়াড়। ১৯৫০ সালে মাদারীপুর হাই স্কুল ও মাদারীপুর ইসলামিয়া হাই স্কুল একীভূত করে ইউনাইটেড ইসলামিয়া হাই স্কুল নামকরণ করা হয়।

১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী হয়ে যখন মাদারীপুরে আসেন, তখন দীর্ঘদিন সাঁতার শেখানো সেই গগণ বেপারীকে চিনতে পেরে তিনি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর সাথে মাদারীপুরের ঘনিষ্ঠতার আরও এক কারণ হল পারিবারিক সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধুর ফুফু রহিমা খাতুনের বিয়ে হয় মাদারীপুর শহরের কুকরাইল এলাকার হাফিজউদ্দিনের সাথে। তার নাতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আরেক নাতি খালিদ হোসেন ইয়াদ মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র।

এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর বড় বোন শেখ ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয় মাদারীপুর শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরীর সাথে। তার নাতি মাদারীপুর ১ আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম লিটন চৌধুরী এবং আরেক নাতি মজিবর রহমান নিক্সন ফরিদপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য।

রাজনৈতিক কারণে তিনি বহুবার এসেছিলেন এ মাদারীপুরে। মাদারীপুর জেলা তখন ছিলো আওয়ামী মুসলিম লীগের আধিক্য। মাদারীপুর মহকুমায় আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতা ও বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের বাবা মৌলভী আচমত আলী খান, আব্দুল মান্নান টুনু, রজ্জব খান, জিন্নাত খানের সঙ্গে রাজনৈতিক কারণে অনেক উঠাবসা ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন মাদারীপুরে আসতেন তাকে সুরক্ষা দিতে আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতা জিন্নাত খান লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করেছিলেন। বিভিন্ন সময়ে সাংগঠনিক, কর্মীসভায় যোগদান করতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আরও পড়ুন : মানুষ যেন স্বল্পসময়ে ন্যায়বিচার পায়

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেষ বারের মতো ১৯৭৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এসেছিলেন। এর পরে তিনি আর মাদারীপুরের মাটিতে পা রাখেননি।

মাদারীপুরের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রয়েছে গভীর সম্পর্ক ও স্মৃতি। মাদারীপুরে তার স্মৃতিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ল কলেজ। এছাড়াও ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তার স্মৃতিতে তৈরি করা হয়েছে একটি ম্যুরাল।

ইতিহাস সংগ্রাহক ও গবেষক সুবল বিশ্বাস বলেন, মাদারীপুরের প্রতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নাড়ির টান ছিলো। তার কৈশোরের ৪টি বছর কেটেছে মাদারীপুরে। তার রাজনৈতিক জীবনের একটি অংশ মাদারীপুর কেন্দ্রীক।

তিনি রাজনৈতিক কারণে বহুবার মাদারীপুর যাতায়াত করেছেন। তার রাজনৈতিক ইতিহাস, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ইতিহাস বাঙালির হৃদয়ে সব সময় বেঁচে থাকবে। তিনি মানুষের প্রাণের নেতা। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

আরও পড়ুন : ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ঘে আহত ৬০

মাদারীপুর ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে আমাদের এই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। অল্প কিছু সময় হলেও তিনি জীবনের ভালো একটি সময় এই বিদ্যালয়ে কাটিয়েছেন।

এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণে স্কুলের গেটে একটি ম্যুরাল তৈরি করেছি। এবং ওই চত্বরটির নাম দিয়েছি মুজিব চত্বর। এছাড়া আমরা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গ্যালারি নামে একটি পাঠাগার তৈরির কাজ শুরু করেছি। আমরা তার স্মৃতি ধরে রাখতে সব ধরনের কাজ চালিয়ে যাবো।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ খান বলেন, সত্তরের দশক এবং এর পরের ৩-৪ টি ঘটনার কথা স্মৃতিতে ভেসে উঠলেও তা অস্পষ্ট। ১৯৬৯ সালে আগরতলা মামলা প্রত্যাহারের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি সারা বাংলায় সাংগঠনিক সফর শুরু করেন।

এই সফরের অংশ হিসেবে মনে হয় (তারিখ বলতে পারেননি) শীত শেষে মার্চ-এপ্রিলে মাদারীপুরে আসেন। বিকেলে নাজিমউদ্দিন কলেজ মাঠে জনসভায় ভাষন দেন। সভা পরিচালনা করেছিলেন সাংবাদিক আমির হোসেন। তাঁর জনসভায় এত লোক জমায়েত হয়েছিল; তা ভাবা যায় না।

তিনি বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুর খাবারের আয়োজন করা হয় আমিন উদ্দিন জমাদারের চরমদনরায় এলাকার শহরের বাড়িতে। ফেরদৌস জমাদার তখন ছাত্রনেতা। এক বাপের এক ছেলে হওয়ার কারণে তিনি খুব একটা মাঠে থাকতেন না। তবে, দলীয় কর্মকাণ্ডে টাকা-পয়সা দিতেন। সেদিন খাবার পরিবেশন করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক বেপারী। খাওয়া-দাওয়া শেষে রাজনৈতিক নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। রাতে শিবচর থানার নেতারা আসেন।

আরও পড়ুন : আদালতে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা!

শিবচর থানার নেতা-কর্মীরা দু‘গ্রুপে বিভক্ত ছিল। বঙ্গবন্ধু আলোচনার মাধ্যমে শিবচরের মোসলেম খান ও মান্নান খানের দু‘গ্রুপকে এক করে দেন। পরদিন সকালে টুনু মান্নানের বাড়িতে নাস্তা করে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সফর সঙ্গীরা চলে যান।

আমার যদ্দূর মনে পড়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে, নভেম্বর মাসে নির্বাচনী প্রচারের জন্য তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে মাদারীপুরে আসেন। সে সময় বঙ্গবন্ধুর সফর সঙ্গী জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দিন আহমেদ, মুনসুর আলী, কামরুজ্জামান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন।

সেদিন আচমত আলী খান, ফণিভূষণ মজুমদার, টুনু মান্নান, স্টুয়ার্ড মুজিব, আবদুল লতিফ হাওলাদার, মোখলেছুর রহমান বাদশা খানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য পরদিন সকালের নাস্তার আয়োজন করা হয় বাদশা খানের চরমুগরিয়ার ডালপট্টি বাড়ির মিলের গদিঘরে। সেদিন অনেক কর্মী সে বাড়িতে নাস্তা করেছিলেন। বাদশা খানের গদিঘরে আমরা কয়েকজন কর্মী বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সফর সঙ্গীদের নাস্তা পরিবেশন করছিলাম। কি বলবো সেদিনের কথা; আমি প্লেটে করে একটা ডিমপোচ্ তাঁর সামনে রাখতেই তিনি বুকে হাত রেখে বলে উঠলেন, ‘তোরা কি খাওয়াবি আমাকে, ওরা আমাকে শেষ করে দিয়েছে। আমার কিছু রাখে নাই।

সেদিন তাঁর এ কথার মর্ম বুঝেছিলাম যে, কারাগারে ওনার ওপর কতো ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছিল। এ ছাড়া আর কি বুঝবো বলেন? একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে স্বাভাবিক হয়ে আলী আহমেদ খান আবার বললেন, নাস্তা খাওয়ার এক পর্যায়ে হাস্যরসের ছলে বঙ্গবন্ধু মোস্তাক আহম্মদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘খান্ খান্ মোস্তাক ভাই পেট ভরে নাস্তা খান্; এটা আমার বাড়ি। লজ্জা করে খাবেন না।’

নাস্তা খাওয়া শেষ হলে ফণিদা আমার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর সামনে নিয়ে বলেন, ‘ওর নাম আলী আহমেদ খান, ও আপনার একজন অন্ধভক্ত এবং আমাদের দলীয় ভাই ও কর্মী।

তখন বঙ্গবন্ধু আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘রাজনীতিতে ভাইয়ের অভাব হয় না। এখানে লক্ষ-লক্ষ, কোটি-কোটি ভাই পাওয়া যায়।’ সেই থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আজ পর্যন্ত আছি, বলেন আলী আহমেদ খান।

মাদারীপুর থেকে চলে যাওয়ার পরেও তিনি বহুবার গোপালগঞ্জ মাদারীপুর যাতায়াত করতেন। তিনি যখন রাজনীতির মাঠে অবিসংবাদিত নেতা এবং বিশ্বে যখন তার পরিচিতি আকাশ চুম্বি তখনও তিনি মাদারীপুরে এসেছেন। বহু সভা-সমাবেশে ভাষণ দিয়ে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছেন।

আরও পড়ুন : সপ্তাহে ৫ দিন ক্লাস

স্বাধীনতা অর্জনের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একবার মাত্র মাদারীপুরে এসেছিলেন ১৯৭৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। তিনি ওইদিন দুপুরে হেলিকপ্টারে এসে মাদারীপুর পুলিশ লাইন মাঠে নামেন। সেখান থেকে লেকেরপাড় সড়ক বিভাগের ডাকবাংলোতে ওঠেন। সেখানে বিশ্রাম নিয়ে সামান্য কিছু খাবার খেয়ে সরাসরি চলে যান মাদারীপুর পাবলিক স্কুলের সামনে। ওইখানে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ভাষণ দেন।

সমাবেশ শেষে বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে ৩ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় এ.আর হাওলাদার জুট মিল মাঠের জনসভায় ভাষণ দিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় হেলিকপ্টারযোগে মাদারীপুর ত্যাগ করেন। এটাই ছিল মাদারীপুরের মাটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শেষ পদার্পণ।

সান নিউজ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বৈষম‌বিরোধী আন্দোলনে বেঁচে ফেরার আশা করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন আন্দোল&zwnj...

সবজির বাজারে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ব...

জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে শিল্পকলায় ভাস্কর্য কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভা...

নিখোঁজের পর খালে মিলল বেদের মরদেহ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নিখোঁজের ১০ দিন পর...

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জরুরি নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের...

রিমান্ড শেষে কারাগারে আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বকুল মিয়া নাম...

ধাপে ধাপে নির্বাচনের দিকে যাবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে গেছে। সরকার এখন ধা...

শরীয়তপুরে বিএনপি'র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৪...

ঢাকা-বেনাপোল রেল যাত্রা ২ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর-খুলনা-বেনাপোল সে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা