এস.এম শাহাদৎ হোসাইন, গাইবান্ধা: সাধারণ মানুষের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বেলাল হোসেন। উপজেলারর রসুলপুর ইউনিয়নের ছান্দিয়াপুর গ্রামে নিজ বাড়ির উঠানে পাঠাগার স্থাপনের পাশাপাশি গ্রামের সাতটি সেলুনে প্রতিষ্ঠা করেছেন সেলুন পাঠাগার।
আরও পড়ুন: চলতি বছরে আসছে ‘নেত্রী: দ্য লিডার’
চুল কাটাতে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা না করে সেলুনে বসেই বই পড়ছে মানুষ। বেলাল হোসেনের এ উদ্যোগকে ইতিবাচক ভাবে দেখছেন বইপ্রেমী মানুষ। অবসর সময়ে বই পড়তে পেরে খুশি এলাকাবাসী। এছাড়া উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান। সমাজসেবার মাধ্যমে উদ্যোক্তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
রসুলপুর ইউনিয়নের ছান্দিয়াপুর গ্রামে সাতটি সেলুনে রয়েছে বিনামূল্যে বই পড়ার ব্যবস্থা। কয়েকটি গ্রাম থেকে চুল কাটাতে আসেন মানুষ। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা না করে তারা সেলুনের ভেতরে বসে বই পড়ছে। আবার কেউ সেলুন থেকে বই নিয়ে বেঞ্চে বসে পড়ছেন।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন রুটে ভাড়ার তালিকা প্রকাশ
নাইম হোসেন নামে এক যুবক বলেন, সেলুনে চুল কাটাতে এসে বই পড়ে সময় কাটানো যায়, বিরক্তি লাগে না। সময়টা কাটানোর পাশাপাশি জ্ঞানও আহরণ করা যাচ্ছে।
রেজাউল ইসলাম নামে এক শিক্ষক বলেন, সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারের উদ্যোগে সেলুন পাঠাগার চালু হয়েছে। অনেক ছাত্র আসে বই পড়ার জন্য। এমন উদ্যোগ উন্নত মানসিকতার সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে। মেধাবী জাতি গঠনে এমন উদ্যোগ সব জায়গায় নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতা পদক পেলেন ৫ বিশিষ্ট নারী
সেলুন পাঠাগারের উদ্যোক্তা বেলাল হোসেন বলেন, পাঠাগার জ্ঞানের ভান্ডার। ২০১৬ সালে পরিবার ও বন্ধুদের সহযোগিতায় এলাকায় সুলতানা রাজিয়া নামে একটি পাঠাগার স্থাপন করি। চিন্তা করি চুল কাটাতে গিয়ে অনেকেই সেলুনে বা বাহিরে অলস সময় পার করে। সেক্ষেত্রে যদি সেলুনে বই রাখা হয়, তাহলে মানুষ বই পড়ে সময় কাটাতে পারবে। এমন চিন্তা থেকে সেলুন পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করি। গ্রামের সাতটি সেলুনে বই রাখা হয়েছে।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান বলেন, এটি অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সমাজসেবার মাধ্যমে তাকে সহযোগিতা করা হবে।
সান নিউজ/কেএমএল