মোঃ মনির হোসেন, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ): অবসর জীবনেও যার অবসর নেই, তিনি হলেন ত্রিশাল সরকারি নজরুল কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল আউয়াল। তিনি তার অবসর জীবনে বেশ কটি কলেজে পারটাইম শিক্ষকতা ছাড়াও ময়মনসিংহের ত্রিশালের দরিরামপুরে গড়ে তুলেন তার বাড়ির নিকটে মরহুম পিতার নামে হযরত আলী আবাসিক হাফেজিয়া মাদ্রাসা। ওই মাদ্রাসায় বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা ৫০ জন। সেখানে দরিদ্র ছাত্রদের বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার
মাদ্রাসা ছাত্রদের পুষ্টির কথা বিবেচনা করে তিনি মাদ্রাসা সংলগ্ম এক বিঘা জমিতে গড়ে তুলেন পুষ্টি বাগান। ওই বাগানে রয়েছে নানা রকমের শাক-সবজি ও ফলের গাছ। রয়েছে মিষ্টি মন ভুলানো রংবিলাস জাতের চিবিয়ে খাওয়া আখের গাছ। ফলের মধ্যে আছে পেঁপে, লেবু, আম, কলা ইত্যাদি। এই পুষ্টি বাগানে মৌসুমি সবজি চাষেই বেশি গুরুত্ব দেন তিনি।
বর্তমানে তার মাদ্রাসার সবজি বাগানে রয়েছে পাটশাক, কলমি শাক, কাকরোল, ঝিঙা, মুখি কচু, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, কাঁচামরিচসহ নানা রকমের শাকসবজি। উৎপাদিত সবজি তিনি বিক্রি করেন না। নিজে খান, মাদ্রাসার ছাত্রদের দেন এবং রাহেলা হযরত মডেল স্কুলের শিক্ষক, পাড়া-প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: অস্ত্রধারীদের হামলায় নিহত ১০০
এ ছাড়া তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রের সহযোগিতায় ০.৪০ একর জমিতে গড়ে তুলেন মিশ্র ফলের বাগান। তার ওই বাগানে এখন আম্রপালি জাতের আম গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায়। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। বাগানে ৪০টি আম, ৩০টি শাহী জাতের পেঁপে, ২০টি সুপারিসহ পেয়ারা, জলপাই, জাম, কলা, লেবু, জাম্বুরা ও নারকেলসহ রয়েছে নানা রকমের দেশীয় ফলের গাছ।
অন্যদিকে ফল গাছের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় রয়েছে সুবর্ণা সুপার জাতের ঢেড়স, কচু, লাউ, করলা, পাটশাকসহ বিভিন্ন সবজি। তিনি শুধু ফল ও সবজি চাষের মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে বাঁচনোর জন্য বিনামূল্যে, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্কুলের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ফলের চারা বিতরণের মতো কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন।
সান নিউজ/কেএমএল