মিরাজ উদ্দিন: আত্মশদ্ধির মাস হলো রমজান মাস। সেহেরি খাওয়ার পর প্রায় ১৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় ইফতারের জন্য।
যেখানে সবাই নিজ পরিবারকে নিয়ে বিভিন্ন ফলমূল ও নানা প্রকারের সামগ্রী নিয়ে ইফতারের আয়োজন করে থাকে। ঠিক উল্টো কিছু লোককে দেখা যায় তারা সারা দিন রোজা রেখে সামান্য কিছু ছোলা, জিলাপি, বেগুনী ইত্যাদি আর সাদা পানি দিয়ে ইফতারি সারছেন। তাদের কাপালে জুটেছে না একগ্লাস শরবত। তাও আবার ফুটপাতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কিছু শ্রমজীবী, অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ তারা ফুটপাতে বসে ইফতার করছেন। মোহাম্মদ সাকিব নামে একজন বলেন পেশায় আমি একজন কার মেকানিক। মাসে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারি, কিন্তু আমি যদি ভালো মানের ইফতারি আয়োজন করি, তাহলে আমার পরিবার আমার ছেলে-মেয়ে মা বাবা কষ্টে জীবন যাপন করবে সেজন্য নিজে একটু কষ্ট করে হলেও পরিবারকে হাসিমুখে রাখার চেষ্টা করি। তবুও ভাই আলহামদুলিল্লাহ শুকরিয়া আদায় করছি।
পারভেজ নামের এক লোক পেশায় একজন রিকশাচালক তিনি বলেন আমার আজকে ইফতারি হয়েছিল একজন লোক এসে আমাকে একটা খিচুরির বক্স দিয়ে যাই। বক্সের ভিতর ছিল একটা ডিম শশা অর্ধেক ও অর্ধেক লেবু এটা দিয়ে আমি ইফতারি টা সেরে নিলাম। জিজ্ঞেস করলাম আরো বিভিন্ন ফলমূল ও শরবত দিয়ে ইফতার করতে পারতেন? উত্তরে তিনি বলেন -ভাই ভালো ফলমূল অথবা ভালো মানের জিনিস দিয়ে ইফতারি করার মতো তো আমার সামর্থ্য নাই।
দৈনিক যা পায় তা আবার (জয়পুরহাট) বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হয়। মা অসুস্থ পারভেজ আরও বলেন যে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার একটু আলাদা, কারণ অন্যান্য বছর দেখা যায় সাধারণত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন যেগুলা বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে বিরিয়ানির বক্স এবং ছোট বাক্সের ভিতর বিভিন্ন ধরণের ফল দিয়ে দিত, কিন্তু এই বছর এখন পর্যন্ত এইদিকটি আমার চোখে পড়ে নাই।
এইভাবে প্রতিদিন রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন ফুটপাতে অল্প আয়োজনে ইফতার করেন বিভিন্ন নিম্ন শ্রেণীর লোক। তারা চাইলে ও ভালো মানের ইফতার করতে পারছেন না, পরিবার নামে সেই শব্দটির দিকে তাকিয়ে।
সান নিউজ/এনকে