বিভাষ দত্ত, ফরিদপুর: ফরিদপুরের মধুখালীতে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি। পেঁয়াজের বাজার কমদামে লোকসানে মাথায় হাত। দেশে সাধারণত ৩ ধরনের পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে টিকাদানে অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার
হালি, মুড়িকাটা ও দানা পেঁয়াজ। সারা দেশের মধ্যে ফরিদপুর জেলা পেঁয়াজ চাষে সেরা। ফরিদপুরের ৯টি উপজেলার মধ্যে মধুখালী উপজেলা হচ্ছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এ বছর প্রচুর পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে মধুখালী উপজেলাতে। উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে কম বেশি পেঁয়াজের চাষ হয়ে থাকে।
উপজেলার রায়পুর, কোরকদি, জাহাপুর ,কামালদিয়া, মেগচামী, আড়পাড়া এবং ডুমাইন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রচুর পেঁয়াজ চাষের উর্বর জমি রয়েছে যে কারনে চাষও হয় বেশি। এ বছর মধুখালী উপজেলাতে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পেঁয়াজের মৌসুম হওয়ায় বাজারে মুল্য কম।
চাষী পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে খুশি হলেও কম দামে বিক্রয়ের জন্য লোকসানে মাতায় হাত। এ বছর পরপর ৩ দফায় পেঁয়াজ রোপণ মৌসুমে বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ে পেঁয়াজ চাষী। সর্বোপরি পেঁয়াজ বীজ রোপণে চাষী সক্ষম হলেও দামের বেলা লোকসান। পেঁয়াজ বীজ রোপন আবাদ ও ঘর পর্যন্ত আসতে প্রতি মণ পেঁয়াজের খরচ হয়েছে ১১/১২শত টাকা। বিক্রয় হচ্ছে প্রতিমণ ৭/৮শত টাকা। লোকসানের মুখে ৪/৫শত টাকা মণপ্রতি।
পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে খুশি হলেও লোকসানে মাথায় হাত চাষীর। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের পেঁয়াজ চাষি রাসেল আহম্মেদ জানান নিজ এক একর ১০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। আশা করছি ২শত মণের বেশি উৎপাদন হবে। বীজ ও কৃষি শ্রমিক বাবদ প্রায় ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রয় হবে ১লক্ষ ৮০হাজার টাকা। আমিতো লাভের আশা করছি। নিয়ম মেনে চাষ করলে ফসল ভাল হবে এবং লাভও হবে।
এ বছর পেঁয়াজ চাষের অবস্থা জানতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলভীর রহমানের কাজে জানতে চাইলে তিনি জানান, মুড়িকাটা প্রায় ২৪০ হেক্টর, দানা ১৬০ হেক্টর এবং হালি ২হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এ বছর উপজেলায় প্রায় ৪৪ হাজার ৪শত ৭৯ মেট্টিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে আশা করি। চাষী ভাইদের জন্য একটাই ট্রিপস নিজস্ব উদ্যোগে সংরক্ষণ ও আড়তে যোগাযোগ করে নিজেরা দলবদ্ধ হয়ে পেঁয়াজ বিক্রয় করলে সঠিক দাম ও লাভবান হবেন।
সান নিউজ/এনকে