ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতিসংঘের একটি গাড়ি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। অবশ্য গাড়ির গুণে নয়, ভেতরে থাকা নারী-পুরুষের কাণ্ডেই চলছে তোলপাড়। এমনকি সংস্থাটির মহাসচিবের কান পর্যন্ত পৌঁছে গেছে সেই নারী-পুরুষের কীর্তির কথা!
যে কীর্তি নিয়ে এতো আলোচনা তা আর কিছুই নয়, যৌনতা! ব্যস্ত সড়কেই আদিম রিপুতে জড়িয়ে পড়েন জাতিসংঘের গাড়িতে থাকা অজ্ঞাত নারী-পুরুষ। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
ব্যস্ত রাস্তায় জাতিসংঘের গাড়িতে শুধু ঐ নারী-পুরুষই ছিলেন না, সামনের সিটে ছিলেন চালকও। তবে তা যৌনতায় বাধ সাধেনি। কয়েক সেকেন্ডের সেই ভিডিও নিয়ে হইচই শুরু হতেই তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, জাতিসংঘের স্টিকার লাগানো গাড়ির পেছনের আসনে রয়েছেন সংস্থাটির এক কর্মকর্তা। এক লাল পোশাক পরা নারী ওই কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে বসে আছেন। বসার ভঙ্গিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তারা সংগমরত। পরিষ্কার ছবির ভিডিও ক্লিপিংয়ে উদ্দাম যৌনতার ছবি যেন স্পষ্ট। ভিডিওতে এটাও দেখা যাচ্ছে যে গাড়ির সামনের সিটে আরো এক ব্যক্তি বসে রয়েছেন।
তবে ওই ভিডিওতে কারো মুখই স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে না। গাড়িটির স্টিকার ও নম্বর প্লেট দেখে নিশ্চিত বোঝা গেছে গাড়িটি জাতিসংঘের ট্রুস সুপারভিশান সংস্থার।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভিডিওটি ইসরায়েলের এক ব্যস্ত রাস্তার। এটাও দাবি করা হয়েছে যে, রাস্তার ধারের একটি বাড়ি থেকে ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি করা হয়েছে। গাড়িতে থাকা জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা এবং ওই নারী; নিজেদের সম্মতিতেই শারীরিক মিলনে লিপ্ত হয়েছিলেন নাকি অর্থের বিনিময়ে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই জাতিসংঘ তড়িঘড়ি তদন্তের সিদ্ধান্ত জানায়। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক জানিয়েছেন, এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই কর্মকর্তাকে দ্রুত চিহ্নিত করা হবে।