মিরাজ উদ্দীন, নোয়াখালী: ‘থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে দেখবো এবার জগৎ টাকে কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরে ঘূর্ণিপাকে’ যদিও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন কিন্তু তার বেলায় কবিতাটি শুধুই বইয়ের পাতায় আর কাগজে কলমেই রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর বাড়ি ছাড়া আর কোথায় যাওয়ার সুযোগ নেই তার।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৩০
বলছিলাম নোয়াখালী জেলার উপজেলা বিছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ার বুড়ির চর ইউনিয়নের ৯নং কালির চর ওয়ার্ডের মোঃ শাহাদাতের কথা। সুস্থ সবল হয়ে জন্মগ্রহণ করলেও মাত্র ৪ বছর বয়সে টাইপয়েড জ্বর হলে ভালো চিকিৎসা না করার কারণে তার দুটি পা এবং দুটি হাত এমনকি কথা বলার ভারসাম্য হারিয়ে পেল। কিন্তু তার অধম্য শক্তি তাকে থেমে রাখতে পারেনি।
তিনি বুড়ির চর আহমদিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ইবতেদায়ী, জুনিয়র দাখিল, দাখিল এবং আলিম পরীক্ষা কৃত্বিতের সাথে পাস করেন। বর্তমানে তিনি হাতিয়া আজহারুল মাদ্রাসায় ফাজিল ( ডিগ্রি) ১ম বর্ষের ছাত্র। মোঃ শাহাদাতের পিতার নাম নূরুল ইসলাম তিন ভাই দুই বোন। কিন্তু দূরাগ্য বিষয় হলে তার বড় ভাই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
আরও পড়ুন: বেড়েছে মৃত্যু, কমেছে শনাক্ত
বর্তমানে মোঃ শাহাদাতের পরিবারে আয়ের কোন সুযোগে নেই। তাই শাহাদাত হোসেন সরকারের কাছে অকূল আবেদন করে বলেন এই দূর সময় সরকার যদি আমাকে কিছু সাহায্য সহযোগিতা করতেন তাহলে আমার পড়ালেখা খরচ চালিয়ে যেতে পারতাম।
এই বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা অফিসার মোঃ সেলিম গণমাধ্যমকে জানান, যদি প্রতিবন্ধী শাহাদাত কোন ভাতা না পাই। তাহলে তার জন্য ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। সে যেন আমার সাথে দেখা করে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল
শাহাদাত যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফাজিল (ডিগ্রি) করেন হাতিয়া আজহারুল ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ গাফুর সাহেব বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে যাবতীয় যত খরচ আসে তার কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়া হয় না। সে যতদিন এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করবে ততদিনে কোন খরচ নেয়া হবে না।
সান নিউজ/এমকেএইচ