ফিচার ডেস্ক :
ইতিহাসবিদের মতে, ঘোড়া বিগত ৪৫ থেকে ৫৫ লাখ বছর ধরে ছোট বহু বক্রপদ জীব থেকে বর্তমানের বৃহৎ একক বক্রপদ প্রাণী হিসেবে পৃথিবীতে অবস্থান করছে।
৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ঘোড়া পোষ মানানোর বিষয়টি বহুলভাবে শুরু হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। ৪০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ অনেকেই বাড়িতে ঘোড়া কিনে পোষা শুরু করেন।
পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন আকারের, বর্ণের ঘোড়া দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে সাদা, কালো, বাদামি বিভিন্ন রঙের ঘোড়া রয়েছে। তবে সবচেয়ে সুন্দর ঘোড়ার প্রজাতি হলো সোনালি রঙের ঘোড়া।
যখন এক একটি ঘোড়া রোদের মধ্যে দৌড়ে বেড়ায় তখন সূর্যের আলোতে মনে হয় যেন সোনালি যাদুর ঘোড়া ছুটে বেড়াচ্ছে।
বিরল প্রজাতির ঘোড়ার মধ্যে একটি অন্যতম হলো সোনালি ঘোড়া। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় গোল্ডেন হর্স। নানা রঙের ঘোড়া দেখলেও এই প্রজাতির ঘোড়াটি অসাধারণ। শুধু রূপেই নয়, দৌড়ের দিক থেকেও ঘোড়াটি যথেষ্ট শক্তিশালী।
পুরো পৃথিবীতে ছয় হাজার ৬০০ টি সোনালি ঘোড়া রয়েছে। এই ঘোড়াগুলো মূলত রয়েছে তুর্কমেনিস্তান এবং রাশিয়াতে।
ঘোড়ার গায়ের লোম এর উপরে সূর্যের রশ্মি পড়ে একটি ধাতব ও চকচকে রং এর সৃষ্টি হয়। যার কারণে এর রংটাই সোনালি আভরণ ধারণ করে। এই ঘোড়ার শরীরের একেকটি লোম অসাধারণ। যার জন্যই পুরো বিশ্বের মানুষের অত্যন্ত কৌতুহল এই প্রজাতির ঘোড়া নিয়ে।
এমন সোনালি ঘোড়ার দামও বেশ চড়া। বেশ কিছু সোনালি ঘোড়াকে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে দেখানো হয়, উঠানো হয় সার্কাসেও।
দর্শকদের বরাবরই আগ্রহ রয়েছে সোনালি ঘোড়া দেখার, আর এ কারণেই বিশ্বে সোনালি ঘোড়ার বেশ কদর রয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ববিদ ওথনিয়েল চার্লস মারশ ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ঘোড়ার বিবর্তন বর্ণনা করেন।
ভারতে ঘোড়াকে সম্ভবত নিয়ে এসেছিলেন আর্যরা। কেননা সিন্ধু সভ্যতায় ঘোড়াকে দেখা যায় না।
আদিমকাল থেকে প্রতিটি যুগেই ঘোড়ার জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছিল বলে ঘোড়ার বিবর্তনের ক্রমপর্যায় সম্পূর্ণভাবে বোঝা সম্ভব হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম আমেরিকায় ঘোড়ার পূর্বপুরুষ ইওহিপ্পাস এর জীবাশ্ম পাওয়া যায়।
সান নিউজ/সালি