নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাবা একটি নাম, কেবল নামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই এই মহান শব্দের। কারণ একটা পরিবারে সন্তানদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নির্ভরতার জায়গা হলো বাবা।
আজ রবিবার বিশ্ব বাবা দিবস। প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার এই দিবসটি পালন করা হয় বিশ্বজুড়ে। এ বছর ২১ জুন পালিত হচ্ছে দিবসটি।
বলা যায় বাবার আবার দিবস কি? সেটা বাস্তবিক সত্য হলেও বাস্তবতার নিরিখে কঠিন ইট পাথরের এই নগরে সবাই ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততার ফাঁকে কতটুকুই বা আলাদা করে আমরা সময় দিতে পারি বাবাকে। এজন্যই হয়তো বছরের এই একটা দিন বাবাকে আলাদা করে স্মরণ করা , শ্রদ্ধার সঙ্গে বরণ করা।
আজকের এই দিনে সারা বিশ্বের সন্তানরা পালন করবেন এই দিবসটি। পিতার প্রতি সন্তানের সম্মান, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের জন্য দিনটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে।
সন্তানরা তাদের প্রিয় জন্মদাতার জন্য নানা উপহার কিনবে, দিবে। যাদের বাবা বেঁচে নেই, তারা হয়তো আকাশে তাকিয়ে অলক্ষ্যে বাবার স্মৃতি হাতড়াবে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিক থেকে বাবা দিবস পালন শুরু হয়। আসলে মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু।
ধারণা করা হয়, ১৯১০ সালের ১৯ জুন থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু হয়।
১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন।
অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রোববার বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
বাবা দিবসকে ঘিরে পত্রপত্রিকা, বিনোদন মাধ্যমগুলো নাটক, টকশোসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
বাবা দিবসে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা পূর্ণতা পাক, দৃঢ় হোক পারিবারিক সকল বন্ধন। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।
সান নিউজ/সালি