বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও: আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক ভবনের সৌন্দর্য ও স্থায়ীত্ব বাড়াতে টাইলসের ব্যবহার আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। নতুন নতুন ডিজাইনের টাইলসের জন্য লোকজনকে ছুটতে হয় বিভিন্ন জেলার স্যানিটারী দোকানে।
বাহারী ডিজাইনের টাইলসের চাহিদা মেটাতে ঠাকুরগাঁওয়ে গড়ে উঠেছে কারখানা। বেকারত্ব ঘোচাতে কারখানা স্থাপন করে নিজেরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তেমনি কারখানায় কাজ দিয়ে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৭ নং জগনাথপুর মেম্বার পাড়া এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম সাজু ও আনোয়ার হোসেন সৌাখিন বাড়ি নির্মাণকারীদের চাহিদার কথা মাথায় নিয়ে গড়ে তুলেছেন এসএ টাইলস্ নামের একটি টাইলস্ কারখানা।
শুরুতে ৭ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করলেও এখন তাদের কারখানায় ১৬ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এখানে ১৬ রকমের ব্লক পার্কিং ও জল ছাদের টাইলস তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন ডিজাইনের হওয়ায় তাদের তৈরি টাইলস্ মানসম্মত হওয়ায় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় সরবরাহ করছেন। সিমেন্ট, বালু, নুড়ি পাথর ও এস এস তার দিয়ে তৈরি এসব টাইলস কিনতে ক্রেতাদের চাহিদা বেড়েছে।
এতে ব্যবসা শুরুর ৩ মাসের মধ্যে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন তারা। কারখানাটি স্থাপিত হওয়ায় সেই এলাকার অনেক বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, আমরা নিখুঁত ভাবে বাজারের চেয়ে এখানে যেগুলো তৈরি হচ্ছে সেগুলো মানে এবং ডিজাইন এ একটু হলেও আলাদা রয়েছে।
উদ্যোক্তা এসএ টাইলস্ পরিচালক শরিফুল ইসলাম সাজু বলেন, শুধু আমাদের নির্মিত ভবনগুলোতেই যে টাইলস্ ব্যবহার হচ্ছে তা না, ব্যক্তি পর্যায়ে যেসব পাকা বাড়ি বা বাণিজ্যিক ভবন তৈরি হচ্ছে, সেগুলোতেও এখন টাইলস্ ব্যবহার হচ্ছে।
ভবনের মেঝে থেকে শুরু করে বাইরের অংশের দেয়াল, এমনকি সীমানা প্রাচীরেও টাইলসের ব্যবহার চোখে পড়ছে। সাশ্রয়ী মূল্য ও টেকসই হওয়ায় মানুষ দিন দিন টাইলস্ ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন। আমি আশা করি আমাদের এই উন্নত মানের টাইলস্ গুলো মানুষের মন কাড়বে। সেই সাথে অনেক অর্ডার এসেছে। সবগুলো সেল করলে আমি অবশ্যই লাভবান হবো।
ঠাকুরগাঁও বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক নুরল হক বলেন, জেলায় ২/৩টি টাইলস্ কারখানা গড়ে উঠেছে। আমরা বিসিকের পক্ষ থেকে তাদেরকে বিভিন্ন রকমের পরামর্শ দিয়ে আসছি। কেউ ঋণ নিতে চাইলে তাদের সেটারও ব্যবস্থা করা হবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ