বিজ্ঞান ডেস্ক:
একজন দুঃসাহসী নারী হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ক্যাথরিন ডি. সুলিভান। যিনি মহাকাশে কিংবা মহাসাগরে যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে রেকর্ড গড়েন। বয়স ৬৮ হলেও, তার মনোবল ও ইচ্ছাশক্তি এখনও প্রবল।
সেই জন্যেই মহাকাশের পর এবার গভীর সমুদ্রেও নতুন রেকর্ড গড়েন এই নারী।
প্রথম মার্কিন নারী নভোচারী হিসেবে ১৯৮৪ সালের ১১ অক্টোবর মহাকাশে হাঁটেন ক্যাথরিন। সেসময় চ্যালেঞ্জার শাটলের বাইরে ৩ ঘণ্টা পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান করেছিলেন।
বিশ্বের প্রথম দুঃসাহসিক নারী হিসেবে তিনি এবার মহাসাগরের গভীরতম অংশে যাওয়ার রেকর্ড গড়লেন। গত রোববার (৭ জুন) একটি ছোট ডুবোযানে করে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম খাদ মারিয়ানা ট্রেঞ্চে অভিযানে গিয়ে নিরাপদে ফিরে এসেছেন। সাবেক নৌ কর্মকর্তা ভিক্টর এ ভেসকাভো অভিযানে তার সঙ্গে ছিলেন।
মারিয়ানা ট্রেঞ্চে পৌঁছানোর কৃতিত্ব এখন পর্যন্ত মাত্র ৭জন পুরুষের রয়েছে। ক্যাথরিন অষ্টম মানবী হিসেবে সেখানে প্রবেশ করেন।
মারিয়ানা ট্রেঞ্চে তিনি বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন এবং সেগুলোর ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। এমনকি ডুবোযান থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা নভোচারীদের সঙ্গে কথাও বলেন।
মারিয়ানা ট্রেঞ্চের অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরের ৬.৯ মাইল (১১ কিলোমিটার) নিচে। সমুদ্রের গভীরতম এই স্থানে পৌঁছানো এতোটা ব্যয়বহুল ও দুঃসাহসী অভিযান যে, খুব কম সংখ্যক মানুষই সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
অতি গভীর হওয়ার কারণে মারিয়ানা ট্রেঞ্চে সব সময় ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে। প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে পানির চাপ থাকে আট টন, যা সমুদ্রের উপরিভাগের পানির স্বাভাবিক চাপের চেয়েও এক হাজার গুণ বেশি।
সান নিউজ/সালি