মো. নাজির হোসেন: দেশের অন্যতম আলু উৎপাদন জেলা হলো মুন্সীগঞ্জ। আলু এ জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল। এ বছর জেলায় ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। এতে ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে। জেলার প্রধান উৎপাদিত ফসল আলু হওয়ায়, সকল কৃষকই শীত মৌসুমে আলু আবাদ করে থাকে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা আলু আবাদ করবে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদরে ৯ হাজার ৮০৫ হেক্টর, টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় ৯ হাজার ৯০০ হেক্টর, সিরাজদীখান উপজেলায় ৯ হাজার ৩৬০ হেক্টর, লৌহজং উপজেলায় ৪ হাজার ১১০ হেক্টর, শ্রীনগর উপজেলায় ২ হাজার ২৬০ হেক্টর ও গজারিয়া উপজেলায় ২ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হবে।
এদিকে, সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নে কৃষকদের আগাম আলু আবাদ করতে দেখা গেছে। এখানকার জমিগুলো একটু উচু। তাই কৃষকরা এ এলাকায় আগাম আলু আবাদ করে থাকেন। এতে কিছু দামও বেশি পাওয়া যায়।
কৃষক মনছুর দেওয়ান (৩৫) বলেন, আমাদের চরকেওয়ার ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকার রাস্তার পাশের জমিগুলো একটু উচু তাই, আমরা এখানে আগাম আলু আবাদ করে থাকি।
আরও বলেন, কয়েক বছর থেকে আলুতে ভালো লাভ হয়না। তার পরও আমরা আলু আবাদ করি। আমার ৪০ শতাংশ জমিতে আলু আবাদ করেছি। আরও আলু আবাদ করবো।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম এই প্রতিবেদককে বলেন, এ মৌসুমে জেলায় ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এখানকার কৃষকরা অরিকো, মালতা, ডায়মন্ড, পেরটোনাইস ও বিএডিসি'র আলু রোপণ করে থাকে।
উল্লেখিত জমিতে আলু রোপণ হলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হওয়ার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষক কী ভাবে আলু চাষ করবে, চারাগাছে কীটনাশক ব্যবহার ও সংরক্ষণ করা যায়। সে বিষয়ে কৃষকদের অবহিত করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ