শফিক স্বপন: দীর্ঘদিন পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয় চালুর খবরে মাদারীপুরের শিবচরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে নানা প্রস্তুতি। তবে বন্যার কারণে পাঠদানে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে উপজেলায় ১৮০টি বিদ্যালয়ের ২৬টি। এতে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রিয়াজ উদ্দিন মাদবরের কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নৌকা চালাচ্ছে দুই শিক্ষার্থী। এছাড়াও পল্লিমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আছিম বেপারী কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাসচর বন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশেপাশের সমস্ত এলাকা ও রাস্তাঘাট পদ্মার পানিতে প্লাবিত। এতে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
রিয়াজ উদ্দিন মাদবরের কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ প্রস্তুত করছি, এখানে বন্যায় লোকজন আশ্রয় নিয়েছিল। আশেপাশে পানি থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের আপাতত বিদ্যালয়ে আসতে কষ্ট হবে।
শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় চর ও নিম্নাঞ্চল বেশি। যে কারণে ২৬টি বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। আরও কিছু বিদ্যালয় ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি বাড়তে থাকলে অন্তত ২০টি বিদ্যালয় পানিতে প্লাবিত হবে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারাও কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। এর মধ্যে সন্নাসীরচর ইউনিয়নের খাসচর বাচামারা আজাদ বিদ্যালয়টি ভাঙনের মুখে রয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন আহম্মেদ জানান, জেলার যেসব বিদ্যালয়ে পানি উঠতে পারে তার একটি তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত বেশ কিছু বিদ্যালয়ের মাঠে পানি উঠেছে। কিছু বিদ্যালয়ের চলাচলের রাস্তায় পানি উঠেছে। তবে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে সেভাবে পানি উঠেনি। যদি পানি উঠে তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
সান নিউজ/এনকে