নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণায় আয়োজন শুরু হয়েছে বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজ পাঠদান উপযোগী করতে।
এগিয়ে রয়েছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। পিছিয়ে আছে সরকারি প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই চলছে স্কুল খোলার প্রস্তুতি। শিক্ষার্থীদের অপেক্ষায় রয়েছে শিক্ষাঙ্গন।
এর আগে গত রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তথ্য সাংবাদিকদের জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এদিকে দীর্ঘ সময় পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে নতুন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, যে অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছিল সেই অবস্থায় চালু করা।
সংশ্লিষ্টদের মতে, অন্তত কয়েক লাখ শিক্ষার্থী স্থায়ীভাবে আর শিক্ষা জীবনে প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ দীর্ঘ বন্ধের সুযোগে অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকে আবার শিশু শ্রমে জড়িয়ে পড়েছেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ তাদের এক হিসেবে বলেছে, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চার কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। সহসা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও নিয়মিত শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার অনেক কমে যাবে।
প্রসঙ্গত, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ।
সান নিউজ/এনকে/এমকেএইচ