সান নিউজ ডেস্ক : করোনা মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় বিশ্বের অন্তত ১০ কোটি শিশু শিক্ষা গ্রহণের ন্যূনতম সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর ফলে প্রচলিত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৪০ লাখ। জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থার (ইউনেস্কো) জরিপে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২০ সালের প্রায় পুরো সময়ই করোনায় লকডাউনে ছিল বিশ্বের সিংহভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনার প্রকোপ দেখা না দিলে প্রচলিত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত শিশুর সংখ্যা হতো ৪৬ কোটি। অর্থাৎ দারিদ্র পীড়িত অঞ্চলের এসব শিশু মৌলিক শিক্ষা পেত না।
তার সঙ্গে ১০ কোটি যুক্ত হয়েছে করোনার কারণে। এর ফলে গত দুই দশকে সকল শিশুকে মৌলিক শিক্ষার আওতায় আনার মহাপরিকল্পনা বড় ধরনের একটি ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউনেস্কোর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর থেকে গত বছরের শেষ পর্যন্ত গড়ে স্কুল বন্ধ রাখতে হয় ২৫ সপ্তাহের মতো। তবে শিক্ষা কার্যক্রম সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হয়েছে ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল এবং মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহে। করোনার টিকা প্রদানের কার্যক্রম সাফল্যজনকভাবে সমাপ্ত হলে সংক্রমণের হার যদি সত্যিকার অর্থেই নিয়ন্ত্রণে আসে, তাহলে শিশু শিক্ষার এই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে ৪ বছর সময় লাগবে বলে ইউনেস্কোর গবেষকরা উল্লেখ করেছেন।
ইউনেস্কো এবং ইউনিসেফের যৌথ এই গবেষণা জরিপ অনুযায়ী, করোনার মধ্যে অনলাইন ক্লাসে উপকৃত হয়েছে মোট শিক্ষার্থীর ২৫%। আগে থেকেই এসব শিশু শিক্ষার্থীর বাসায় অনলাইন এবং কম্পিউটার সুবিধা থাকায় তারা সহজেই নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
জরিপ অনুযায়ী, চলতি বছর আফ্রিকা, এশিয়া এবং ইউরোপের ১০৭ দেশের অধিকাংশ স্কুলেই ক্লাস শুরু হয়েছে। এর ফলে ৪০ কোটি শিশু শিক্ষার্থীর ভার্চুয়াল ক্লাসের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এখনও ৩০ দেশের স্কুল খুলেনি। এর ফলে ১৬ কোটি ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে ভার্চুয়াল অথবা অন্য কোনোভাবে ক্লাস করতে হচ্ছে।
সান নিউজ/এসএ