নিজস্ব প্রতিবেদক : আনারস সকল শ্রেণি পেশার মানুষের অতি প্রিয় ফল। এই ফল গাছটি ১৫১৩ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগিজরা ব্রাজিল থেকে মালাবার উপকূলে নিয়ে আসে। পরবর্তীকালে দক্ষিণ আমেরিকা ও পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে আনারসের চাষ হয় এবং ক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, থাইল্যান্ড, ইন্দোচীন, ফিলিপাইন, যুক্তরাষ্ট্র (হাওয়াই রাজ্য), মেক্সিকো, মালয়েশিয়া, পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রসার লাভ করে।
পৃথিবীতে প্রায় ৯৫ প্রজাতির আনারস রয়েছে। বাংলাদেশে সাধারণত ৪ জাতের আনারস চাষ করা হয়। জায়েন্ট কিউ, কুইন, হরিচরণ ভিটা ও বারুইপুর। পলাশ(ঘোড়াশাল), সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় এসব জাতের চাষ সবচেয়ে বেশি। জায়েন্ট কিউ জাত সবচেয়ে বড় হয়। এ জাতের কাঁচা আনারস গাঢ় কালচে সবুজ।
কিন্তু পাকলে কমলা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। কুইন, বারুইপুর ও হরিচরণ ভিটা জাতের আনারস আকারে ছোট। তবে কয়েকটি স্বাদে সামান্য টকও হয়ে থাকে। হরিচরণ ভিটা স্বাদে বেশ মিষ্টি। আনারস সুস্বাদু ও সুমিষ্ট আর রসে টইটম্বুর ফল। পুষ্টিগুণে আনারস অতুলনীয়। এতে ভিটামিন এ বি সি ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
প্রতি কেজি ফল থেকে ৫০০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। কাঁচা আনারস স্বাদে অম্ল এবং পাকা আনারস মধুরাম্ল। কাঁচা আনারসের চাটনি রান্না করে খাওয়া যায়। আনারস থেকে জ্যাম, জেলি, স্কোয়াশ, রস প্রভৃতি তৈরি হয়। কিছু কিছু আনারস জ্বরে ও জণ্ডিস রোগে বেশ উপকারী।
সান নিউজ/এসএ