গুন্টার ভিলহেলম গ্রাস (অক্টোবর ১৬, ১৯২৭ – ১৩ এপ্রিল, ২০১৫) ছিলেন সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান সাহিত্যিক, কবি, নাট্যকার, ভাস্কর এবং গ্রাফিক ডিজাইনার। গ্রাস ছিলেন কাশুবিয়ান আদিবাসী।
গুন্টার গ্রাসের প্রতিভা ছিল বহুমুখী। তিনি ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ই অক্টোবর জার্মানির ডানজিগে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উইলহেম গ্রাস ছিলেন প্রোটেস্ট্যান্ট এথনিক জার্মান, অন্যদিকে মা হেলেন গ্রাস ছিলেন কাশুবিয়ান–পোলিশ বংশোদ্ভূত রোমান ক্যাথলিক। তিনি শৈশবে কিছুকাল গির্জায় ‘বেদী–সহকারী’ হিসেবে কাজ করেছেন। কৈশোরের লেখাপড়া শেষ করে ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ১৬ বছর বয়সে বিমান বাহিনীর একটি সহযোগী সংস্থায় যোগদান করেন। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে তিনি সাবমেরিন সার্ভিসে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ নেন, উদ্দেশ্য ‘কঠোর ক্যাথলিক মধ্যবিত্ত শ্রেণীর যুপকাষ্ঠ থেকে মুক্তি লাভ করা।’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে নেভিতে না নিয়ে ‘দশম প্যানজার ডিভিশন ফ্রুন্ডজবার্গ’–এ তালিকাভুক্ত করা হয়। এই বাহিনীতে তিনি ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ শে এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেন।
গ্রাস তার প্রথম উপন্যাস দ্য টিন ড্রাম (১৯৫৯)-এর জন্য পরিচিত হয়, যা একটি ইউরোপীয় জাদু বাস্তবতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখনী এবং দানজিগ ত্রয়ীর প্রথম অংশ যাতে ক্যাট এ্যন্ড মাউস, ও ডগ ইয়ার্স অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। তার লেখা সবসময় বামপন্থী রাজনৈতিক লেখা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে এবং তিনি সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জার্মানির একজন সক্রিয় সমর্থনকারী। দ্য টিন ড্রাম উপন্যাসটি নিয়ে একই নামের চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে যা ১৯৭৯ সালে পাম ডি’অর এবং সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে। সুয়েডীয় একাডেমি ১৯৯৯ সালে তাকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করেন।
সাননিউজ/ইউকে