জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় সময়ের ব্যবধানে বেড়েছে মাল্টা চাষ। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি অনেকেই ব্যক্তি উদ্যোগে চাষ করছেন মাল্টা। আগে সাধারণত কমলার দিকেই ঝোঁক বেশি ছিল চাষিদের, তবে এখন অনেকেই মাল্টার বাগান গড়ে তুলছেন। প্রতিবছর বাড়ছে এই বাগানের সংখ্যা।
আরও পড়ুন: সুঁই-সুতোয় তাসলিমার রঙিন দিন
কৃষি বিভাগ বলেন, মাল্টা দেখতে সবুজ হলেও খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও মিষ্টি। বারি-১ জাতের এই মাল্টার উৎপাদন বাড়ছে জুড়ীতে। সম্ভাবনাময় এই ফসল চাষাবাদে তুলনামূলক খরচ কম থাকায় সহজে ফলন হয়। সে জন্য কৃষকরা ঝুঁকছেন এখন মাল্টা চাষে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জুড়ী উপজেলায় ২৪ হেক্টর জমিতে মাল্টা বাগান গড়ে উঠেছে। গত বছর যা ছিল ২১ হেক্টর। উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে কমবেশি মাল্টার আবাদ হচ্ছে। রয়েছে ছোট-বড় শতাধিক বাগান। জুড়ী উপজেলার পূর্বজুড়ী, ফুলতলা, সাগরনাল ও গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে এর ফলন হচ্ছে বেশি। কেউ করেছেন সখের বসে চাষাবাদ আবার কেউ কেউ বাণিজ্যিক চিন্তাধারা নিয়ে। এ বছর জুড়ীতে মাল্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৭ টন।
আরও পড়ুন: ড্রাগন ফল চাষে সফল শাহাবুদ্দিন
জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকতা মো. মাহমুদুল আলম খান বলেন, লেবু জাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। শুকনো মৌসুমে মাল্টার উৎপাদন বাড়াতে গাছের পরিচর্যায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। এই প্রযুক্তিতে পানি ও সার একসঙ্গে দেওয়া যাবে ড্রিপ ইরিগেশনের মাধ্যমে।
সান নিউজ/এএন