শীত আমাদের যেন একটু বেশীই ফ্যাশন্যাবল করে দেয়। আর ফ্যাশনের জন্য শীত বেশ উপযুক্ত। শীতে প্রকৃতির ধূসর পরিবেশে খাপ খাওয়াতেই যেন আমরা সবাই রঙিন পোশাক পরে থাকি। আর উজ্জল রং মানেই উৎসবের ছোঁয়া।তাই শীতেও রঙিন পোশাকে আমরাও বর্ণিল হয়ে উঠি। আর শীতের পোশাকের ধরন এবং রঙেও পাওয়া যায় উষ্ণতা ।
শীতকালে দিনের চেয়ে রাতের দিকে ঠান্ডাটা একটু বেশি পড়ে থাকে। তাই সময়কে মাথায় রেখে পোশাকটাও হয় ভিন্ন। দুপুরের দিকে ছোটদের জন্য গাঢ় রং যেমন-লাল,ম্যাজেন্টা,গোলাপি এবং এতে হালকা রঙের ডলার,সুতার কাজ করা থাকলেও ভালো লাগবে। কাপড় একটু ভারী হলে ভালো,এছাড়া সিল্কের কাপড়ের পোশাকও ভালো লাগবে। এবং ঠান্ডাও কম লাগবে।
বড়রাও শীতে পরতে পারেন তিন চারটি গাঢ় রং যেমন-কালো, গাঢ় নীল,গাঢ় সবুজ এবং গাঢ় শেডের নকশা করা পোশাক। আর সাথে থাকবে ফুলের শাল বা ফুলওভার। পোশাকে উজ্জল রংই প্রকৃতির ধূসরতা কমাতে সাহায্য করে। তবে ফ্যাশন যাই হোক না কেন, শীতের কাপড় তেমনই হওয়া উচিত যা প্রতিদিনের ব্যবহার এবং যেকোন অনুষ্ঠানে সহজেই মানিয়ে নিতে পারা যায়। শীতে সাধারনত একটু মোটা কাপড় প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে জুট কটন ও সিল্কের কাপড়ের বিভিন্ন ধাঁচের কাটিং এর বিভিন্ন নকশা করা পোশাকের কদর বেশি । এতে ফ্যাশনের সাথে সাথে উষ্ণতা এবং আধুনিকতা দুটোই ঠিক থাকবে।
শীতকালে বিভিন্ন দাওয়াত থাকে ,আর এই সময় পোশাক পরতে হয় দুটি দিক বিবেচনা করে একটি হলো ফ্যাশন আর আরেকটি হলো শীতে আরামদায়ক।তাই রাতের বিয়েতে বা যেকোনো উৎসবে কালোর সঙ্গে উজ্জ্বল রং যেমন লাল, মেরুন, গোলাপি, ম্যাজেন্টা, নেভি ব্লু, গাঢ় সবুজ ইত্যাদি রঙের প্রিন্ট বা ভারী কাজ করা পোশাকও এনে দেবে আভিজাত্য। পোশাকের সাথে মিল রেখে পরতে পারেন কালো বা চকলেট রঙের জ্যাকেট, শ্রাগ বা শালের সঙ্গে গাঢ় সবুজ, নীল বা মেরুন রঙের পোশাক নিয়ে আসবে ভিন্নতা। বন্ধুদের আড্ডা,ক্লাস অথবা অফিসে এই রঙের পোশাকগুলোও সহজেই পরতে পারেন। এছাড়া আমাদের দেশের মোটা খাদির কাপড় দিয়েও ফ্যাশন পিপাসুরা নিজেদের জন্য বানিয়ে নিতে পারেন নতুন নতুন র্কুতি,ব্লাউজ,শার্ট,কামিজসহ সব ধরনের পোশাক।