আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের পর এবার ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে জাপান। তবে এ ভূমিকম্পের পর দেশটিতে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে বোমা হামলায় নিহত ২১
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৯ টার দিকে টোকিওর উত্তরে এ কম্পন অনুভূত হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল টোকিওর উত্তরে কাসুকাবে শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে। শহরটিতে ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বাস করেন। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ কিলোমিটার গভীরে।
জাপান জানিয়েছে, কম্পন মাপার জন্য তাদের একটি নিজস্ব স্কেল রয়েছে। ০.৭ পর্যন্ত সেই স্কেলে এ কম্পনের মাত্রা ছিল ৫। অর্থাৎ প্রবল কম্পন অনুভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান
ভূমিকম্পের পরপরই টোকিও এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোতে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে। এ ভূমিকম্পে বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।
দেশটির বার্তা সংস্থা এনএইচকে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে বুলেট ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়। টোকিও থেকে ফুকুশিমার রাস্তায় আলো না থাকায় ট্রেন বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ১২
এছাড়া পরমাণু চুল্লির কাজও সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কম্পন স্থলের খুব কাছে।
উল্লেখ্য, জাপান অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। প্রতি বছর দেশটিতে অন্তত ১৮০০টি ভূমিকম্প হয়, যা গোটা পৃথিবীর ১৮ প্রায় শতাংশ। সেখানকার ঘরবাড়িগুলোও সেই মতো করে তৈরি করা হয়। ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয় কম। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
সান নিউজ/এনজে