রাশেদুজ্জামান রাশেদ, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেঁতুলিয়ায় উপজেলায়।
আরও পড়ুন: ২ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের আভাস
মৌসুমের সর্বনিম্ন এ তাপমাত্রায় কনকনে শীতে হাড় কাঁপছে এ অঞ্চলের মানুষের। সকালে কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত।
শীত উপেক্ষা করে চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকসহ বিভিন্ন নিম্নআয়ের মানুষদের জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনের থেকে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) কনকনে শীত অনুভব হয়। টিনের চালে বৃষ্টির ফোটার মতো শিশির ঝরা শব্দ শোনা যায়।
ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র পর্যন্ত বরফ হয়ে উঠে। গৃহস্থালী কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।
আরও পড়ুন: বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
চা শ্রমিক মোস্তফা, সাইফুল ও আরশেদ আলী জানান, প্রচন্ড ঠান্ডা। বাগানে পাতা তুলতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করবো, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে।
একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকরা। কয়েকজন ভ্যানচালক বলেন, এ মৌসুমে মনে হচ্ছে আজকেই বেশি কুয়াশা আর ঠান্ডা। শীতের কারণে সহজে ভ্যানে চড়তে চান না অনেকেই। এ কারণে ইনকাম হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় বাসে আগুন, গ্রেফতার ২
এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ-ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ নিরাময়ের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমে বেশ ঠান্ডা পড়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় রেকর্ড হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) একই সময়ে ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ হওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে তিনি জানান।
সান নিউজ/এনজে