নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মিগজাউম’। এতে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১১.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এ পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: এলপিজির মূল্য ঘোষণা আজ
আজ সকাল ৬ টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। সেই সাথে এর কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নবম দফায় বিএনপির অবরোধ শুরু
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
উল্লেখ্য, চলতি বছরে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৩ টি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। গত ১৪ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ওই দিন সন্ধ্যা ৬ টায় ঘূর্ণিঝড়টি টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে।
এছাড়া গত ২৪ অক্টোবর রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এরপর গত ১৭ নভেম্বর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মিগজাউম’। এটি মিয়ানমারের দেওয়া নাম।
সান নিউজ/এনজে