আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হিমালয়কন্যা নেপালে গত শুক্রবারের বিভীষিকা কাটতে না কাটতেই ফের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এ কম্পনের মাত্রা কিছুটা কম ছিল হলেও এ নিয়ে দেশটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: গাজার শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত ৫১
রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে আঘাত হানা এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৬। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, রোববার ভোরে নেপালে ৩.৬ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, এ কম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল কাঠমান্ডু থেকে ১৬৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ও ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
আরও পড়ুন: অ্যাম্বুলেন্সে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫
প্রায় একই সময়ে আফগানিস্তানেও ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, গতকাল গভীর রাতে আফগানিস্তানের ফয়জাবাদে ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে ৪.৭ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়। গত শুক্রবার রাতে নেপালে ভূমিকম্পে ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়। ৬.৪ মাত্রার শক্তিশালী সেই ভূমিকম্পে পাহাড়ের কোলে সাজানো শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
ঐ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। উদ্ধারকাজ এখনো শেষ হয়নি। এর মাঝেই দেশটিতে আজ আবারও ভূমিকম্প হলো। নেপালের বাসিন্দারা এ নিয়ে আতঙ্কিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত ১২০
সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, কাঠমুন্ডু থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের জারাকোত ও পশ্চিম রুকুম ভূমিকম্পের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বর্তমানে সেখানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। নেপাল ছাড়াও ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুক্রবার রাতের সেই শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়।
প্রথম ভূমিকম্পের এক ঘণ্টার মধ্যে আরও ৩ টি ছোট ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্প আঘাত হানার শঙ্কায় বহু মানুষ সারারাত বাইরেই অবস্থান করেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বোমা হামলায় নিহত ৫
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বেশ কিছু ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল কাঠমান্ডু ও পোখারা শহরের মধ্যবর্তী স্থানে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশটিতে কমপক্ষে ৮৯৬৪ জন নিহত ও প্রায় ২২ হাজার মানুষ আহত হন।
সান নিউজ/এনজে