নিজস্ব প্রতিবেদক: গত কয়েক দিন টানা বৃষ্টির ফলে রাজধানী ঢাকার বাতাস আজ সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪ বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টা ৩৮ মিনিটে বিশ্বব্যাপী বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা যায়,
আজ বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের করাচির স্কোর ১৬৩। অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। শহরটির স্কোর ১৫৫। অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। সেখানকার স্কোর ১৪১। অর্থাৎ শহরটির বায়ুর মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
দূষণ তালিকায় এরপর রয়েছে যথাক্রমে- ইরাকের বাগদাদ (স্কোর ১৩৯), ভিয়েতনামের হ্যানয় (স্কোর ১৩৯), কাতারের দোহা (স্কোর ১৩), পাকিস্তানের লাহোর (স্কোর ১২৯), কুয়েতের কুয়েত সিটি (স্কোর ১১০) সৌদি আরবের রিয়াদ (স্কোর ১০২) মালয়েশিয়ার কুচিং (স্কোর ১০০)।
এ তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১১তম। শহরটির স্কোর ৯৯। অর্থাৎ ঢাকার বাতাস আজ সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
আইকিউএয়ারের সূচক অনুযায়ী, স্কোর ০-৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১-১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে
এছাড়া সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১-১৫০ স্কোর। ১৫১-২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১-৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার নিয়মিত দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দিয়ে সতর্ক করে থাকে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে আ’লীগের শান্তি সমাবেশ আজ
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। ঐ মাসে মোট ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের অন্যতম দূষিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জন প্রতি ৫ বছরেরও বেশি আয়ু কমতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে