জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলে এ অঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। আমন চাষিরা বন্যার শঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গামুক্ত কক্সবাজারের দাবিতে মানববন্ধন
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে, কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্ট পানি বিপৎসীমার শূন্য সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাশাপাশি ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি ৮৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে কুড়িগ্রাম রাজার হাট কৃষি আবহাওয়া অফিস সূত্রে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড
এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পাশাপাশি নিচু অঞ্চলের আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
ঘড়িয়াল ডাঙা তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা কৃষক হাসানুর ইসলাম জানান, গতকাল রাত থেকে সমানে বৃষ্টি হচ্ছে। এরকম বৃষ্টি থাকলে আবারও বন্যা হবে। এবার ধান নষ্ট হয়ে গেলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বো আমি।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা এলাকার আফতাব আলী জানান, কিছুদিন আগে বৃষ্টির পানিতে আমার আমন ক্ষেত তলিয়ে যায়। পরে পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর আবার নতুন করে জমিতে ধান রোপণ করেছি। এবার যদি আবার বন্যা এসে ধান নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সাংবাদিককে হেনস্তা
আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন; জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ২৬ ও ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় নার্সের মৃত্যু
এতে উলিপুর, চিলমারী ও সদরের কিছু অংশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এইচএন