আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি মাসে বিশ্বের গড় তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙ্গেছে। এ অবস্থায় চলমান জুলাই মাস হতে পারে শত শত বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ মাস- এমন তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসার এক বিশেষজ্ঞ।
আরও পড়ুন: বাড়লো গ্যাস সঞ্চালন-বিতরণ চার্জ
শুক্রবার (২১ জুলাই) বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বর্তমানে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি দেখা যাচ্ছে। এদিকে আমেরিকার বেশ কিছু অঞ্চলেও ভয়াবহ গরম মোকাবিলা করছেন মানুষ।
এএফপি বলছে, ২০২৩ সালের জুলাই মাস হাজার বছরের মধ্যে না হলেও শত শত বছরের মধ্যে সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাসার শীর্ষ জলবায়ুবিদ গ্যাভিন শ্মিট।
আরও পড়ুন: নাগালের বাইরে মাছ, দাম কমেনি মরিচের
গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মেইন ইউনিভার্সিটি পরিচালিত সরঞ্জামের হিসাব অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই এই গরম ও তাপপ্রবাহের দৈনিক রেকর্ডগুলো ভেঙে গেছে।
নাসার ব্রিফিংয়ে গ্যাভিন শ্মিট সাংবাদিকদের বলেন, যদিও এই ২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সামান্য মতভিন্নতা রয়েছে, তারপরও প্রচণ্ড তাপের প্রবণতাটি সন্দেহাতীত। বিষয়টি সম্ভবত মার্কিন সংস্থাগুলোর প্রস্তুতকৃত মাসিক প্রতিবেদনে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে বাড়ছে গমের দাম
তিনি বলেন, আমরা সারা বিশ্বে অভূতপূর্ব পরিবর্তন দেখছি। ইউরোপে, চীনে এবং যুক্তরাষ্ট্রে আমরা যে তাপপ্রবাহ দেখছি, তা আসলে সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছে।
গ্যাভিন শ্মিট বলেন, তাপপ্রবাহের এই প্রভাবগুলোর জন্য শুধুমাত্র এল নিনোর আবহাওয়ার ধরণকে দায়ী করা যায় না। মূলত, এটি কেবলমাত্র আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান তাপপ্রবাহের পেছনে যদিও এল নিনো ছোট ভূমিকা পালন করছে, তারপরও আমরা যা দেখছি, তা হলো প্রায় সর্বত্রই সামগ্রিকভাবে উষ্ণতা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সোনার দামে নতুন রেকর্ড
বিশেষ করে মহাসাগরগুলোতে। অনেক মাস ধরে আমরা সমুদ্র পৃষ্ঠের রেকর্ড-ব্রেকিং তাপমাত্রা দেখছি। এমনকি সেটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের বাইরেও।
তার কথায়, আমরা মনে করি, এ ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে। যে কারণে আমরা মনে করছি এটি অব্যাহত থাকবে, সেটা হলো- আমরা বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোকে আগের মতোই প্রবেশ করাচ্ছি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টি, নিহত ১...
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে এখন যা হচ্ছে, তাতে ২০২৩ সাল যে বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর হবে তেমন সম্ভাবনা দিনে দিনে বাড়ছে। গ্যাভিন শ্মিট অবশ্য তার হিসাবের ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে তেমন সম্ভাবনাকে ফিফটি-ফিফটি বলছেন।
তিনি জানান, অন্য বিজ্ঞানীরা এমন সম্ভাবনাকে ৮০ শতাংশের মতো উচ্চতায় রেখেছেন।
চলতি বছরের তুলনায় ২০২৪ সাল আরও বেশি উষ্ণ বছর হবে বলেও নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন নাসার এই জলবায়ুবিদ।
সান নিউজ/এনজে