নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এক কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশে সবুজ বিপ্লব সাধিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সংসদ ভবন চত্বরে গাছের চারা রোপণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
সংসদ ভবন চত্বরে সব সংসদ সদস্যদের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে খালিদ মাহমুদ একটি নিম গাছের চারা রোপণ করেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য সংসদ ভবন চত্বরে চারা রোপণ করেছেন। সম্প্রতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন এবং সেই অনুষ্ঠানে তিনি সব সংসদ সদস্যকে সংসদ ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ করার আহ্বান জানান।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তবে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এক কোটি গাছের চারা রোপণ কর্মসূচি চলমান আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুজিববর্ষে সারাদেশে এক কোটির বেশি গাছের চারা রোপণ করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৪ সাল থেকে সবুজায়নের জন্য প্রতিবছরই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে থাকেন। এ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। আওয়ামী লীগসহ দেশের জনগণকে তিনি বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বিশ্বে দ্বিতীয় কোনও রাজনৈতিক দল এভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে না। এ জন্যই সারাবিশ্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পরিবেশ বান্ধব রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃত।'
প্রকৃতি ও মানুষ সবকিছু মিলিয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন মন্তব্য করে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেই ধরনের মানুষ যিনি প্রকৃতির সঙ্গে ছিলেন। আপনারা জানেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিন্তু উদ্যান ছিল না। এখানে ঘোড়ার দৌড় হত এবং সেটা নিয়ে বাজি খেলা হত। সেটাকে তিনি বাতিল করে দিয়ে সেখানে তিনি উদ্যান করেছেন। গাছ লাগিয়েছিলেন। নারকেল গাছের চারা তিনি লাগিয়েছিলেন। আজকে সেটা উদ্যানে পরিণত হয়েছে। ঢাকাবাসীকে স্বাস্থ্যকর একটি উদ্যান তিনি উপহার দিয়েছেন।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় জাতির পিতা গাছের চারা লাগিয়েছেন। সেটা আজ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আমাদের রক্ষা করছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সুন্দরবন যদি রক্ষা না পায়, বাংলাদেশ রক্ষা পাবে না।’
এ সময় হুইপ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মাহবুব আরা বেগম গিনি, নাদিরা সুলতানা এমপিসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।