জেলা প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ ক্রমশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় ভোলার সাথে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু
রোববার (১৪ মে) দেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (১২ মে) রাত সোয়া ১০ টা থেকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নৌযান বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আরও পড়ুন : বিজেপির হাতছাড়া কর্ণাটক!
শনিবার (১৩ মে) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের ভোলা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাব বাড়তে থাকায় সারা দেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ভোলা-ঢাকা, ভোলা-বরিশাল ও ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে চলাচল করা যাত্রীবাহী সকল ধরনের লঞ্চ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : সেনা শাসন আসার সম্ভাবনা নেই
শনিবার (১৩ মে) দুপুরের পর থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. মাহবুবর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলে আঘার হানার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে এটি ভোলায় উপকূলীয় এলাকায় সরাসরি আঘাত না হানলেও এর প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন : রফতানি বেড়েছে ইউরোপে
এদিকে ভোলার উপকূলীয় অঞ্চলে ৮ নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় জেলায় সকল ধরনের জরুরি পরিষেবা ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছে। এ সম্পর্কে জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া আছে। সেই সাথে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সর্বনিম্ন রাখতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছে।
সান নিউজ/এনজে