সান নিউজ ডেস্ক: সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে মোখা। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২১ কিলোমিটার এর বেশি থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ১০-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১২ মে) কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে আঘাত করলেও পুরো বাংলাদেশের সব উপকূলীয় জেলায় ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হবে ঘূর্ণিঝড়টি যাত্রাপথ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান ও আকৃতির কারণে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের নদ-নদীর পানি বেড়েছে
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের প্রবল আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১০ থেকে ১২ ফুট।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আগামী রোববার দুপুর নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে মোখা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূলে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস শুরু হবে।
সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হলে সেটি হয় সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়। বাতাসের গতিবেগ ৮৮ থেকে ১১৭ হলে তাকে বলা হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
আর বাতাস যদি ১১৭ থেকে ২২০ কিলোমিটার বেগে বয়, তবে তা হয় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আর ২২০ কিলোমিটারের ওপরে বাতাসের গতিবেগ উঠলে তাকে সুপারসাইক্লোন বলা হয়।
এদিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের পশুর নদী এবং সুন্দরবনের নদ-নদী ও খালের পানি। জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সান নিউজ/এনকে