নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ থেকে সিফুড আমদানি এবং মৎস্য খাতে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন : জাপান স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা...
বুধবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেলে স্পেনের বার্সেলোনায় গ্লোবাল সিফুড এক্সপো ২০২৩ এ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
এ সময় বাংলাদেশ থেকে মাছ রফতানির ক্ষেত্রে বিদেশি বায়ারদের বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা দেওয়ারও আশ্বাস দেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
আরও পড়ুন : অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ সরকার কর অব্যাহতিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশের চিংড়ি ও অন্যান্য মৎস্য সম্পদ রফতানির চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা উত্তরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন মন্ত্রী।
মৎস্যমন্ত্রী বলেন, চিংড়ি, ফিনফিস, শুঁটকি, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশের রফতানি আয় এ অর্থবছরে ২৬.৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার রোগমুক্ত বাগদা চিংড়ি উৎপাদনে বেসরকারি খাতে ম্যাচিং গ্র্যান্ট দেওয়াসহ চিংড়ি উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন : ১৩ পৌরসভার বিষয়ে ইসিকে চিঠি
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন দেশের মৎস্য খাত কীভাবে বিকশিত হয়েছে, মৎস্য খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, সিফুড রফতানিসহ বিভিন্ন বিষয় বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সিফুড এক্সপো থেকে বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা অর্জন করছে।
এ বছর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সিফুড এক্সপো আয়োজন করা হচ্ছে জানিয়ে সিফুড সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশের বায়ার ও বিশেষজ্ঞদের এতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন : ৪১ জেলায় তাপদাহ, শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা
শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, দেশের সিফুড খাতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।
সারা বিশ্বে সিফুড রফতানির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশে এ খাতে বুদ্ধিবৃত্তিকসহ অন্যান্য সম্পদ বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিদেশি বায়ার ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করা হবে। বাংলাদেশের মাছকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন : শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান উল্লেখ করে মন্ত্রী বিদেশি বায়ারদের বাংলাদেশের মৎস্য খাত পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ব্লু ইকোনমি সেলের প্রধান ও যুগ্মসচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, বাংলাদেশ দূতাবাস জার্মানির মিনিস্টার (কমার্শিয়াল) মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ দূতাবাস স্পেনের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মো. রেদোয়ান আহমেদ, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সেলিম রেজা হাসান, বাংলাদেশের মাছ রপ্তানিকারক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী, নেদারল্যান্ডসের প্রতিষ্ঠান ফিশারম্যান চয়েজ এবং সিফুড কানেকশনের প্রতিনিধি, জার্মানির প্রতিষ্ঠান এইচ অ্যান্ড এফ, লেংক ফ্রোজেন ফুডস এবং গ্লোবাল গ্যাপ-এর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।
সান নিউজ/এনজে