আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডে বায়ু দূষণ প্রকট আকার ধারণ করায় গত সপ্তাহেই প্রায় ২ লাখ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
আরও পড়ুন : দিনাজপুরে দেখা মিলল নীলগাইয়ের
শনিবার (১১ মার্চ) থাই জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ বাস করেন। শহরটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যও।
আরও পড়ুন : সংক্রমণে শীর্ষে রাশিয়া
সম্প্রতি ব্যাংককে যানবাহনের ধোঁয়া, কারখানা থেকে নির্গমন হওয়া ধোঁয়া এবং কৃষিভিত্তিক পোড়ানো থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ার ধূসর বায়ুতে আচ্ছন্ন রয়েছে।
থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বায়ু দূষণের কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে দেশটিতে ১৩ লাখের বেশি মানুষ অসুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই প্রায় ২ লাখ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন : ক্যাম্পাসে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা, আহত ২ শতাধিক
এ অবস্থায় থাই জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসক ক্রিয়াংক্রাই নামথাইসোং জানান, ঘরের বাইরে গেলে উচিত দূষণ বিরোধী উচ্চ মানের এন৯৫ মাস্ক পরা।
এছাড়া শিশু ও গর্ভবতী নারীদের ঘরে থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৭ প্লাটুন বিজিবি
গত বুধবার (৮ মার্চ) ব্যাংককের ৫০টি জেলায় সবচেয়ে বিপজ্জনক পিএম ২.৫ কণার অনিরাপদ মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই কণা সহজেই রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করতে পারে।
থাই সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ বলছে, ব্যাংককের বেশিরভাগ এলাকায় পিএম ২.৫ এর মাত্রা নিরাপদ সীমার ওপরে রয়েছে। এছাড়া থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চিয়াং মাইতে পরিস্থিতি আরও খারাপ। কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলে বছরের এ সময় খড় পোড়ানো হয়।
আরও পড়ুন : ভারত থেকে ডিজেল আমদানি
প্রসঙ্গত, বস্তুকণা পিএম ২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের বিপজ্জনক কঠিন ও তরল কণার সমষ্টি। এটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকার রোগ যেমন প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে।
এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে ব্যাংককে বায়ু দূষণ চরমে ওঠায় শহর কর্তৃপক্ষ সবাইকে বাড়ি থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন : রাজশাহীতে ট্রেন চলাচল বন্ধ
গত বছর ব্যাংককের গভর্নর চ্যাডচার্ট সিট্টিপুন্ট পরিবেশ উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও বায়ু পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি।
গভর্নরের একজন মুখপাত্র একভারুন্যু আম্রপালা বলেন, পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে আরেকটি আদেশ জারি করতে দ্বিধা করবেন না।
আরও পড়ুন : আগামী সপ্তাহে কালবৈশাখী
তিনি আরও জানান, নার্সারি স্কুলগুলোতে বাচ্চাদের সুরক্ষার জন্য এয়ার পিউরিফায়ার ও বিশেষ ‘নো ডাস্ট রুম’ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া যানবাহনের ধোঁয়া নিরীক্ষণের জন্য চেকপয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণে সারা বিশ্বে প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ প্রাণ হারান হন। স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী বাধা পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ফলে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পায়।
সান নিউজ/এনজে