সান নিউজ ডেস্ক : আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে সৃষ্ট নিম্নচাপটি শেষ অব্দি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ধরে নিয়ে ব্যাপক প্রস্ততি নিতে শুরু করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নামকরণ করা হবে সিত্রাং। থাইল্যান্ডের দেওয়া এই নামের অর্থ ‘পাতা।’
আরও পড়ুন : রাজনীতিতে অযোগ্য ইমরান খান
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর গতিপথ কী হবে তা নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য আসেনি।
তবে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে পরবর্তী নির্দেশনা সাবধানতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হবে। প্রথমে এটি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলেও পরে তার অভিমুখ হবে উত্তর দিক।
আরও পড়ুন : মানুষের কষ্ট হচ্ছে
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) নাগাদ বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানবে।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৩টার পর কানাডার সাসক্যাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন- আজ সন্ধ্যার পরে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য একটি আদর্শ পরিবেশে পৌঁছে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আর আগামীকাল সকালের মধ্যে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। শনিবার (২২ অক্টোবর) দিন শেষে ডিপ্রেশনটি আরও সংগঠিত হয়ে পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন : বেড়েছে মোটা চালের দাম
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের পুরোটা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে বিশেষ করে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সকল উপকূলীয় জেলা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বলেও ফেসবুকে লিখেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : ইলিশ ধরার অপরাধে ৪১ জেলে আটক
পশ্চিমবঙ্গে সিত্রাংয়ের সম্ভাব্য বিপদ মোকাবিলায় বেশ কিছু নির্দেশরা জারি করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ২২ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত দিঘায় সমুদ্রে নামার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে। পর্যটকদেরও এই বিষয়ে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে।
এছাড়া উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ২৪ ও ২৫ অক্টোবর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন