নিজস্ব প্রতিনিধি:
দেশের সমুদ্র খাতের উন্নয়ন, চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নরওয়ে।
রোববার (৫ জুলাই) সকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে অনলাইনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসব বিষয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন নরওয়ের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন।
এ সময় বাংলাদেশের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহার, সামুদ্রিক জঞ্জাল ও বিভিন্ন প্রকার দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
আলোচনাকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন নরওয়ের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে তার সার্বিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নরওয়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই দু'দেশের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। স্বাধীনতার পর থেকেই নরওয়ে বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে।' তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে বনমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ‘ক্লাইমেট ভালনারেবলিটি ফোরাম’ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়াও 'গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপটেশন' এর আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় স্থাপনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।
সভায় দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়েও দু'জন একমত পোষণ করেন। এ সময় নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন তার কর্মকালে সব ধরনের সহায়তার জন্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।