আমিরুল হক, নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবাধে চলছে লাইসেন্সবিহীন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি। মান নির্ণয় ছাড়াই এসব সিলিন্ডার গ্রামীণ জনপদের মানুষ অবাধে ব্যবহার করছে। কোনো ধরনের অনুমোদন না থাকলেও পৌরসহ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের হাট-বাজার ও রাস্তার পাশের দোকানে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। যেখানে সেখানে অবৈধভাবে মজুত করে ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডার বিক্রি নিয়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে চা দোকান থেকে ফার্নিচার ও মুদি দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল। বেশির ভাগ দোকানি বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্স ছাড়াই এ ব্যবসা করছেন। গ্যাস সিলিন্ডার বেচাকেনারও অনুমোদন নেই। নেই দোকানে আগুন নির্বাপণ যন্ত্র। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রতিকারেরও ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এক দোকানে নানা ব্র্যান্ডের এলপি গ্যাস বোঝাই সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও চা ও পানের দোকান ছাড়াও হার্ডওয়্যার, সিমেন্ট, মনিহারি ও মুদি সামগ্রী বিক্রির দোকানেও এলপি গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারীর সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় চ্যাট, বাংলাদেশি কূটনীতিক প্রত্যাহার
শহরের কয়কজন এলপি গ্যাস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, আমরা অনেক দিন ধরেই সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছি। কিন্তু অনুমোদন বা লাইসেন্সের ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই। এতদিন কেউ আসেনি। তাই এ ব্যাপারে কোন সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন তাঁরা।
নতুন বাবুপাড়া এলাকার নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক মুদিদোকানি জানান, কয়েক বছর আগে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে সেই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষে হয়ে গেছে। প্রশাসনের তদারকি নেই বলে এভাবেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সৈয়দপুর সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক আরিফুল ইসলাম বলেন, শহরে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করছেন। দোকানের সামনে রাস্তার পাশে এসব গ্যাস রাখায় হুমকির মুখে পড়েছে সাধারণ ক্রেতা, পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধে কর্তৃপক্ষকে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: ভাগিয়ে নেওয়া বউকে ফেরত দিতে আলটিমেটাম
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা খুরশিদ আলম জানান, ইদানীং মানুষ এলপি গ্যাসের ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এ কারণে বিভিন্ন এলাকায় অনুমোদনহীন যত্রতত্র ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। অনেকেরই বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্স নেই। এসবের একটি তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তালিকা তৈরি হলে এ বিষয়ে তখন তাঁরা পদক্ষেপ নেবেন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম হুসাইন বলেন, শিগগিরই মোবাইল কোর্টোর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ দোকানিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ