নিজস্ব প্রতিবেদক: শান্তি আর নিরাপত্তা নিয়ে বাস করতে চায় প্রতিটি প্রাণিই। তবে মানুষের কারসাজিতে তা হচ্ছে বিনষ্ট। পরিবেশ-প্রতিবেশকে ধ্বংস করে নিজেদেরও হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে বিশ্ববাসী।
ছয় ঋতুর বাংলাদেশ অনেকটা দুই ঋতুতে পরিণত হচ্ছে। এখন কার্তিক মাস। কার্তিক আর অগ্রাহায়ণ মিলে হেমন্তকাল। কোথায় সেই শিশির ঝরা সকাল তা হয়তো ভুলেই গিয়েছি আমরা। আর বৈশ্বয়িক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে গলছে উত্তর মেরুর বরফ। পৃথিবীর ফুঁসফুসখ্যাত আমাজন বন হচ্ছে বিনাশ। জীব-বৈচিত্র যাচ্ছে হারিয়ে।
পৃথিবীর এই ক্লান্তিকাল গোচাতে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আজ (৩১ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬)। চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এই সম্মেলনকে গুরুত্ব দিয়ে জমা হচ্ছেন বিশ্বনেতৃবৃন্দ ও পরিবেশবিদরা।
কপ-২৬ কী: মনুষ্য কারণে জীবাশ্ম জ্বালানির নির্গমন বৃদ্ধির ফলে পৃথিবী দিন দিন উষ্ণ হচ্ছে। দাবদাহ, দাবানল ও বন্যার মতো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া তীব্রতর হচ্ছে। গত দশক ছিলো রেকর্ড উষ্ণ। বিশ্বের সরকারগুলো একমত যে এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে যৌথ পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
কপ-২৬ সম্মেলনে বিশ্বের ২০০ দেশের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে পরিকল্পনা।
২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যাতে না বাড়ে, সে ব্যাপারে সম্মত হয়েছিলো নেতারা। এটাই প্যারিস চুক্তি। চুক্তিটির মানে হলো ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কার্যত শূন্যে নামিয়ে আনতে দেশগুলো ব্যাপকভাবে নিঃসরণ কমাবে।
জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৯৫ সালে কপের প্রথম সম্মেলন হয়। কপ-২৬: ‘কপ’ মানে ‘কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ’। এবারের গ্লাসগোতে হতে যাওয়া সম্মেলনটি ২৬তম। তাই একে বলা হচ্ছে ‘কপ-২৬’।
আইপিসিসি: ‘আইপিসিসি’ হলো জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তদেশীয় প্যানেল। এই প্যানেল জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সবশেষ গবেষণা যাচাই করে।
১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস: প্রাক-শিল্পায়ন যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাব এড়ানো যাবে বলে মত বিজ্ঞানীদের।
সান নিউজ/এফএআর