নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে সুন্দরবন ঘেঁষে ‘আম্ফান’ স্থলভাগে উঠে এসেছে। আবহাওয়াবিদদের কাছ থেকে জানা যায়, উপকূল পেরিয়ে বিশাল এলাকাজুড়ে আম্ফান স্থলভাগের দিকে এগিয়ে যেতে থাকবে। তবে একই সঙ্গে বৃষ্টি ঝরিয়ে এর শক্তি ক্ষয় হয়ে যাবে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের একটি অংশ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চল দিয়ে ঢুকে যশোর ও নড়াইল জেলার দিকে আজ রাতেই চলে যাবে। এই পর্যন্ত এর বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটারের মতো।
সেখান থেকে মাগুরা, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ থেকে জামালপুরের দিকে এগিয়ে যাবে আজ রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বুধবার (২০ মে) বিকেল পাঁচটায় সুন্দরবন–সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে আম্ফান। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন, রাত আটটার মধ্যে আম্ফান বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা অঞ্চল অতিক্রম করেছে।
তবে ভূখণ্ডে আম্ফানের স্থল নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার মধ্য দিয়ে এর নাম মুছে যাবে। পরে ময়মনসিংহ হয়ে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলে গিয়ে হারিয়ে যাবে স্থল নিম্নচাপটি। এর প্রভাবে কাল বৃহস্পতিবারও (২১ মে) বৃষ্টি হবে। এর পরদিন শুক্রবার (২২ মে) দেখা যাবে ঝলমলে রোদ।
উল্লেখ্য, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, আম্ফানের নামে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় সাত দিন ধরে বঙ্গোপসাগর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে নিজেকে পরিণত করেছে। তবে এর উৎসটি ছিল বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে। ১৪ মে প্রথম লঘুচাপ সৃষ্টি হয় এই সাগর অঞ্চলে। এর কয়েক দিন পর নিম্নচাপ। তার পর গভীর নিম্নচাপ। গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়। নাম হয়ে যায় ‘আম্ফান’। ঘূর্ণিঝড় থেকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। একসময় গত ১৭ মে ‘সুপার সাইক্লোন’–এর পর্যায়ে চলে আসে আম্ফান।
সান নিউজ/ আরএইচ