নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে বছরের প্রথম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’।
বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) আন্দামান সাগরের কাছে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
শুক্রবার (১ মে) যে হবে, সে নিশ্চয়তাও নেই। তবে দুই–তিন দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এ পরিণত হবে।
চলতি মাসের শুরুতেই এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আবহাওয়ার ধরনই এমন। শতভাগ নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। শুধু সম্ভাব্যতার কথা বলা যায়। তবে সাগরে থিতু হলেই ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য অভিমুখ ও গতিপথ সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য জানা যাবে। ওই সময়েই কোন উপকূলে সেটি আঘাত হানবে তাও পরিষ্কারভাবে বলা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বিষয়ক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, এটি ৩ থেকে ৫ মে তারিখের মধ্যে মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার–চট্টগ্রাম উপকূলের দিকে আঘাত হানতে পারে।
এর প্রভাবে ৫ থেকে ৭ মে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানি থাকতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বৃষ্টি বাড়তে পারে। আর শুক্র বা শনিবারের মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সব লক্ষণ রয়েছে।
শুধু তাই-ই নয়,ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ঘনীভূত হওয়ার খবর জানিয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরও। একইসঙ্গে সংস্থাটি এই ঘূর্ণিঝড়টি যথেষ্ট শক্তিশালী হবে বলেও আভাস দিয়েছে।
সান নিউজ/সালি