নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কাঠাল বাগান বাজার এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম। বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। গত দুই দিন বৃষ্টি মাথায় নিয়েই অফিস করেছেন। তৃতীয় দিনের মতো আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) বাসা থেকে বেরিয়েছেন।
সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলামোটর মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। গত দু’দিন একটু দেরিতে বাসা থেকে বেরিয়েছেন। জলাবদ্ধতার কারণে ১০ টাকায় ভ্যানে চড়ে বাসস্ট্যান্ডে আসতে হয়েছে। তাই আজ একটু সকালেই বের হয়েছেন। সাইফুল ইসলাম বলেন, আজও সকালটা বৃষ্টির ভোগান্তি দিয়েই শুরু হলো। সারাদিন কী হবে কে জানে?
সাইফুলের মতো নগরবাসীদের অনেকেই সকালে বৃষ্টির ভোগান্তি দিয়েই আজ দিনটি শুরু করেছেন। জীবন ও জীবিকার তাগিদে ঘরে বসে থাকার জোঁ নেই। নিরুপায় হয়ে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কাজে ফেরা। নিম্নআয়ের দিনমজুর, রিকশাচালক, গার্মেন্টসকর্মীসহ অন্যদের বৃষ্টির দিনে দুর্ভোগটা একটু বেশি।
সকালে গ্রিন রোড, ঝিগাতলা, ধানমন্ডি, ছোবহানবাগ, মানিকমিয়া অ্যাভিনিউ, ফার্মগেট, খামারবাড়ি, কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, বাংলামোটর, আরামবাগ, মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। যা আছে প্রত্যেকে অফিসগামী। গণপরিবহনেও তেমন ভিড় নেই। প্রায় প্রতিটি পরিবহনের বেশিরভাগ সিটই ফাঁকা। বাসের হেলপারদের স্বাভাবিক দিনের মতো চিৎকার করে যাত্রী ডাকতে দেখা যায়নি।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বা অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
গতকাল রাজধানী ঢাকায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কুমিল্লায়, ১৮৩ মিলিমিটার। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ভোলায়, ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন টেকনাফে, ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সান নিউজ/এমএম