সান নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বজ্রপাতের হার অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিবছরই বজ্রপাতে মারা যাচ্ছে শতাধিক লোক। সেই সাথে সম্পদেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এপ্রিল মাস থেকে শুরু করে এই বর্ষা মৌসুমে বজ্রপাতের প্রকোপ অনেক বেশি। বজ্রপাত মূলত ভূপৃষ্ঠের মধ্যকার ধনাত্বক আয়নের কারনেই হয়ে থাকে। যখন আকাশে প্রচুর মেঘ জমে আর তা ভূপৃষ্ঠের খুব কাছে চলে আসে তখনই বজ্রপাতের ঘটনাটা ঘটে।
বজ্রপাত থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় এর জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কিছু দিকনির্দেশনাও দিয়েছে।
- বজ্রপাত সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময় ঘরে বা বাসাবাড়িতে অবস্থান করুন।
- আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখা দিলে বাড়িতে অবস্থান করুন। তবে জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে বের হতে পারবেন।
- বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ অথবা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
- এই সময়ে ধান ক্ষতে বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙ্গুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকুন।
- বজ্রপাতের আশঙ্কা হলে যত দ্রুত গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
- কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা বা জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
- বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতর অবস্থান করলে, গাড়ীর ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ রাখবেন না, সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোন কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
- বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি ও বারান্দার থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
- বজ্রপাতের সময় মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং এগুলো বন্ধ রাখুন।
- বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।
- এই সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।
- বজ্রপাতের সময় ছাউনি ছাড়া নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না, তবে এ সময় সমুদ্র বা নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।
- বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাসা-বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
- প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
- খোলা স্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে সরে যান।
- কোন বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
- বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মত করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। বজ্র আহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদ স্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
সান নিউজ/ এমএম