অচিন্ত্য মজুমদার, ভোলা
আক্রমণের ক্ষিপ্র গতি ও বিষের তীব্রতার কারণে রাসেলস ভাইপার সাপ সারা বিশ্বে “কিলিংমেশিন”হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি ভোলার একটি সবজি ক্ষেত থেকে “কিলিংমেশিন” হিসেবে খ্যাত ভয়ংকর এই বিষধর রাসেল ভাইপার উদ্ধার করে বন বিভাগের কর্মীরা।
বিরল প্রজাতির সাপটি উদ্ধারের পর বন বিভাগের কর্মীরা চরফ্যাসনের চর কুকরি-মুকরির গহীন অরণ্যে এটিকে অবমুক্ত করে।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের দিঘিরপার এলাকার পন্ডিত বাড়ির কৃষক শফিক হোসেনের সবজি ক্ষেত থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গত এক বছরে ভোলায় ৫টি রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, ৫ ফুট লম্বা ও মোটা আকৃতির অজগর সাপের মত দেখতে সাপটি সবজি ক্ষেতের পাশে থাকা জালের সাথে আটকে যায়। এসময় স্থানীয়রা বন বিভাগকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভোলা সদর উপজেলা বন কর্মকতা কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটি বিষধর রাসেল ভাইপার বলে সনাক্ত করে। এরপর সাপটিকে উদ্ধার করে তারা।
ভোলা সদর উপজেলা বন কর্মকতার মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, সাপটি অনেকটা অজগরের মত দেখতে হলেও এটি আসলে পৃথিবীর অন্যতম বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার। ভোলার ইলিশা ও ধনিয়া ইউনিয়ন থেকে এনিয়ে ৫টি রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ। এ প্রজাতির সাপ দেখলে না মেরে বন বিভাগে খবর দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর মনিরুল খান ই-মেইলে ছবি দেখে সাপটি যে রাসেল ভাইপার তা নিশ্চিত করে মুঠো ফোনে জানান, আক্রমণের ক্ষিপ্র গতি ও বিষের তীব্রতার কারণে রাসেল ভাইপার “কিলিংমেশিন”হিসেবে পরিচিত। একে বাংলায় চন্দ্রবোড়া বলা হয়। সাধারণত দেশের উত্তরাঞ্চল তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের পদ্মা ও যমুনার চরে সাপটির বেশি দেখা মিলে। তবে বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের সব অঞ্চলে এর বিচরণ রয়েছে। মোবাইল ফেসবুকের কারণে কিষয়টি এখন পরিস্কার হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, রাসেল বাইপার ভয়ংকর বিষধর সাপ হলেও একে আঘাত না করলে ক্ষতি করে না। তাই এ ধরনের সাপ দেখলে একে ধরতে যাওয়া অথবা আঘাত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ সাপে কামড়ালে ওঝা-বদ্য না ডেকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে “এন্টি ভেনম” ভেকসিন দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সান নিউজ/সালি