মেহেদী হাসান, সাভার:
এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুত হয়নি সাভারের ট্যানারি শিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি)। যার কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সিইটিপি প্রস্তুত না থাকায় অশোধিত পানি সরাসরি ধলেশ্বরী নদীতে ফেলছে কারখানা কতৃপক্ষ। এতে এক দিকে যেমন নদীর পানি দূষিত হচ্ছে,অন্য দিকে মরছে নদীর মাছ।
কর্তৃপক্ষ বলছে, সাভারের হরিণ ধরায় আগামী এক বছরের মধ্যে সিইটিপির শতভাগ কাজ প্রস্তুত হয়ে যাবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি তা।
চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাভারে এখন পর্যন্ত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট চালু হয়নি। একটি কাঁচা চামড়ার ৮০ ভাগই সলিড ওয়েস্ট। সরকার সিইটিপি করে দেওয়ার কথা বললেও এখন পর্যন্ত সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টর কোন ব্যবস্থা চালু হয়নি। ওয়াটার ট্রিটমেন্টের ৪টি ইউনিটের একটি ইউনিট অপারেশনে গেলেও ৩৫টি ট্যানারি সেখানে ওয়েটব্লুর কাজ শুরু করেছে তাই সামলাতে পারছেনা।
এলাকাবাসিরা বলছেন, এরইমধ্যে চামড়া শিল্প নগরীতে পানি জমতে শুরু করেছে। সেই পানি ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে মাছ মারা যাওয়ায় এলাকাবাসী বিক্ষোভও করেছে। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা না থাকায় দুর্গন্ধে এলাকার বাতাস বিষাক্ত হয়ে পড়ছে।
ব্যবস্থাপক জিতেন চন্দ্রপাল বলেন, সাভারে চামড়া নগরীর বর্জ্য শোধনাগারের পরীক্ষামূলক ভাবে আংশিক চালু হয়েছে। অধিকাংশ প্যারামিটার ও কিছু যন্ত্রপাতি এখনো এসে পৌঁছায়নি। সেগুলি আসলে আমরা একটা ভাল রেজাল্ট পাবো বলে আশা করছি।
ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টর জন্য চার কোটি টাকা বরাদ্ধ রেখেছে ইয়ার্ড কতৃপক্ষ। কিন্তু এর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় ক্যামিকেল, লবন মাটি ও পানিকে দুষণ করছে। সঙ্গে বাড়ছে পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকি।
সান নিউজ/সালি