নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজীপুর : পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখির নাম ইমু। যে পাখি উড়তে পারে না। কিন্তু ঘণ্টায় ৪০ মাইল গতিতে দৌড়াতে পারে। মুখের আকৃতি দেখতে অনেকটাই হাঁসের মতো। ২০১৮ সালের প্রথমদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আরও ৪টি ডিম ফুটে ইমু ছানার জন্ম হয়েছিলো।
সম্প্রতি গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একটি ইমু পাখি ৫টি ডিম দেয়। তা থেকে একটি বাচ্চা ফুটে। বাকি ডিমগুলো হতে আরও ৪টি নতুন ইমুর অপেক্ষায় পার্ক কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে করোনা মহামারীর মধ্যে ইমু পরিবারে জন্ম নিয়েছে নতুন ছানা। সাফারি পার্কে ইমুর ডিম ফুটে ছানার জন্ম হওয়ার ঘটনা দ্বিতীয়। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তিনটি ইমু পাখি আনা হয়েছিল। নতুন এ ছানা নিয়ে পার্কের ইমুর সংখ্যা ৮টিতে পৌঁছল।
বন্যপ্রাণী পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান বলেন, ইমু পাখি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখি। ইমু অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পাখি। বন্য পরিবেশে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে এদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সমতল তৃণভূমি বা খোলামেলা বন-জঙ্গলে এরা বাস করে। এরা যাযাবর পাখি শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
ইমু পাখি হলেও এরা উড়তে পারে না, তবে ঘণ্টায় ৪০ মাইল গতিতে দৌঁড়াতে পারে। এরা দক্ষ সাতারুও বটে। ইমু খুব শান্তশিষ্ট ও উৎসুক পাখি। উটপাখির মতো পা দিয়ে এরা আত্মরক্ষা করে থাকে কিন্তু এদের পায়ে থাকে ধারালো নখওয়ালা তিনটে আঙুল। এদের শরীর বাদামি রঙের পালকে ঢাকা।
২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে এবং সর্বোচ্চ ওজন হয় ৬০ কেজি পর্যন্ত। ডিম দেওয়ার সময় হলে এরা বাসা বাঁধে। মা ইমু ডিম দেওয়ার পর পুরুষ ইমু তাতে তা দেয়। এই সময় তারা ডিম ছেড়ে অন্য কোথাও যায় না। এমনকি খাওয়া-দাওয়া করে না। এরা সর্বভুক প্রাণী বিধায় গাছপালা, ফলমূল, পোকা-মাকড় ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, সাফারি পার্কে ইমু পাখির একটি ডিম ফুটে নতুন ছানার জন্ম হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বাকি আরও ৪টি ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে।
সান নিউজ/এসএ